220151

৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ, ধরা পড়া যুবকের পরিণতি…….

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে প্রথমবার ধর্ষণের পর পুনরায় সুযোগ পেয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার পর তরিকুল ইসলাম রিমন (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। ধর্ষক যুবক গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামের ইউনুছ সরদারের ছেলে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামের গোয়ালন্দ দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ওই শিশুটিকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো বখাটে তরিকুল ইসলাম রিমন। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই শিশুটি বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফেরার সময় তার মুখ চেপে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে যায় রিমন। সেখানে তার ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে সে।

এই ঘটনা কাউকে বললে ছুরি দিয়ে কেটে নদীতে ফেলে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হয় শিশুটিকে। প্রাণভয়ে ভীত শিশুটি ধর্ষণের বিষয়টি স্বজনদের কাছে গোপন করে।

এর মধ্যে লম্পট তরিকুল ইসলাম রিমন গত সোমবার সন্ধ্যায় জানতে পারে ওই শিশুটির বাড়িতে কেউ নেই। এই সুযোগে সে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখানে শিশুটিকে আবারও ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় রিমন। ধর্ষণের এক পর্যায়ে ওই শিশুটি রিমনের হাত থেকে একছুটে পালিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ঘটনা খুলে বলে।

পরে মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুটির বাবা বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তারপর পুলিশি অভিযানে আটক হয় ধর্ষক রিমন।

প্রসঙ্গত, শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া। সময় এখন.কম

পাঠকের মতামত

Comments are closed.