220131

পুঁচকে আয়াক্সের কাছে হেরে বিদায় নিলো রোনালদোর জুভেন্টাস

ন্যু ক্যাম্পে মেসিদের উৎসব। অন্যদিকে তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে রোনালদোদের ঘরে বিষাদের সুর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়ে বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ আট থেকেই থামতে হলো জুভেন্টাসকে। মেসি জোড়া গোল করে বার্সার জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। রোনালদো গোল করেও পারেননি তাঁর দল জুভেন্টাসকে বাঁচাতে।

সিরি এতে টানা সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জুভেন্টাস। লিগ চ্যাম্পিয়নে তাদের অভুক্ত এসে যাওয়ার মতো। চায় চ্যাম্পিয়নস লিগ। তাই স্পেন থেকে তুরিনে নিয়ে যাওয়া হলো রোনালদোকে। সেই রোনালদো গোল করে এগিয়ে নিয়ে সেমিফাইনালের স্বাদ প্রায় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে দিন শেষে ২-১ গোলে হার। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর এই প্রথম সেরা চারে জায়গা করে নিল নেদারল্যান্ডসের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। অথচ এবার বাছাইপর্ব খেলে চ্যাম্পিয়নস লিগে আসতে হয়েছে তাদের।

প্রথম লেগে আয়াক্সের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল জুভেন্টাস। কোথায় নিজেদের মাঠে উড়িয়ে দেবে ডাচ ক্লাবকে। উল্টো ২-১ গোলে হার। ২৬ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যাওয়া। পিয়ানিচের কর্নারে রোনালদোর হেড জাল খুঁজে নেয়। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তাঁর ষষ্ঠ গোল। কিন্তু গোল হজম করে ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আয়াক্স। ৩৪ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া হাকিমের জোরালো শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসলে পান ফন দে বেক। দেখে শুনে জালে জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সমতায় ফিরে এগিয়ে যাওয়ার পালা। ৬৭ মিনিটে মাথিজ ডি লিটের গোলে এগিয়ে যায় আয়াক্স। শেষ পর্যন্ত গোলটিই হয়ে থাকে জয় সূচক। আর রোনালদোদের জন্য শেষ পেরেক।

১৯৯৬ সালে জুভেন্টাসের কাছেই পেনাল্টিতে ফাইনালে হেরেছিল আয়াক্স। ড্রয়ের পর থেকে সেই ম্যাচের প্রতিশোধের কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। ২৩ বছর পর সেই প্রতিশোধের ওপর নতুন সূর্যোদয় হল আয়াক্সের। প্রথমআলো

পাঠকের মতামত

Comments are closed.