218261

যেভাবে বুঝবেন আপনার জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে!

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার। প্রতি বছর ৪ লাখ ৭০ হাজার নারী এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে ৫০% নারীই মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশেও এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ১২ হাজার ৫শ নারী। ঘন্টায় ১ জন করে মারা যান। তবে নারী দেহের ও যৌনাঙ্গের এই ক্যান্সারই সর্বাধিক সফলভাবে প্রতিরোধ যোগ্য। সচেতনতাই পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। সাধারণত ২০ বছরের নিচে এ রোগ হয় না। আক্রান্তরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী হয়ে থাকেন।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে একটু বেশি সময় নেয়। স্বাভাবিক কোষগুলো ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে ১০-২০ বছর সময় নেয়। ক্যান্সার কোষে রূপান্তর হলে রোগটি দ্রুত বাড়তে থাকে। কখনও পিন্ডের মতো আকার ধারণ করে কখনও ঘা এর মতো হয়। তখন বিভিন্ন লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা (CIN) থাকলে রোগীর শরীরে সাধারণত কোন উপসর্গই থাকে না। ফলে স্ক্রীনিং টেস্ট ছাড়া তা নির্ণয় করা যায় না।

সাধারণত ক্যান্সারে রূপান্তর হলে, নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়।

১. মাসিকের সময় প্রস্রাবের রাস্তায় অনিয়মিত রক্তক্ষরণ হয়

২. সহবাসের পর রক্তক্ষরণ হয়

৩. জরায়ুমুখ স্পর্শ মাত্রই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে

৪. কোনো ধরনের ইনফেকশনের কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সাদা ও ঘন বা বাদামী রঙের দুর্ঘন্ধযুক্ত তরল স্রাব নি:সরন

৫. ঋতু সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা দিতে পারে

৬. তলপেটে ব্যাথা হতে পারে

৭. শেষের দিকে প্রস্রাব পায়খানা করতে সমস্যা, পিঠে ব্যাথা, শরীর ফুলে যাওয়া ও রক্তশুণ্যতা ইত্যাদি হতে পারে।

লেখক পরিচিতি: ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা একজন প্রসূতি, স্ত্রী ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। তিনি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও শমরিতা হাসপাতালে কাজ করেন।

email: mahmudak50@gmail.com

অনুলেখক: আলী আদনান। একুশে টিভি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.