217972

গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ে ভেষজ চিকিৎসা

অনলাইন সংস্করণঃ- রোগ নিরাময়ে ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয়। দেশ-বিদেশেও এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অন্যান্য ওষুধের মতো বর্তমানে হারবাল ওষুধ রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। প্রযুক্তির উৎকর্ষে মানবদেহের যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় এখন সহজলভ্য হয়েছে।

ফলে সঠিক পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় সম্ভব হলে ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কেননা ভেষজের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মানবদেহের গ্যাস্ট্রিক বা পাকস্থলীর প্রদাহে সাধারণত সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়া, গুরুপাক জাতীয় খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত ভোজন গ্যাস্ট্রাইটিস রোগের অন্যতম কারণ। খাবারে বেশি পরিমাণ মসলা ও তেলের ব্যবহার গ্যাস্ট্রাইটিস সৃষ্টি করে।

রোগটির উপসর্গগুলো হলো- গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করা, টক টক ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব ও বমি করা, খাওয়ার আগে বা পরে পেটব্যথা করা, পেট ফেঁপে যাওয়া, টকজাতীয় খাবার অ্যাসিডিটি বাড়ায়। এসব উপসর্গযুক্ত রোগীর নিয়মিত যথাসময়ে খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে তা ক্রমে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আর সেই ক্ষতের নামই পেপটিক আলসার বা ডিওডেনাল আলসার। গ্যাস্ট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে রক্ষা পেতে আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, যষ্টিমধু, খয়ের, মঞ্জিষ্ঠা, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, ইসপগুল, বাবলাগাম ইত্যাদি খুবই কার্যকরী। ভেষজভাবে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ওষুধও গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

লেখক : বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক। ০১৯১১৩৮৬৬১৭ ০১৬৭০৬৬৬৫৯৫

 

সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.