217704

ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে হতে পারে ক্যানসার

গরমে অনেকেই ট্যালকম পাউডার করেন। তবে জানেন কি? কিছু প্রসাধনী আছে যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এজন্য প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মন্দ যাচাই করা জরুরি। গরমে ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে আমরা পাউডার ব্যবহার করি। এই পাউডার থেকেই ওভারিয়ান ক্যানসার হতে পারে।

ওভারিয়ান ক্যানসারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন, ডা. ভদীপ চক্রবর্তী৷

ট্যালকম ব্যবহারে কেন ক্যানসার হয়?

ট্যালকম পাউডার অনেকেই ত্বকে ব্যবহার করেন। এই পাউডারে রয়েছে ট্যাল্কে ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন এবং কিছু পরিমাণে অ্যাসবেসটস পদার্থ । এই অ্যাসবেসটস থেকেই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

পাউডারের সঙ্গে ওভারিয়ান ক্যানসারের সরাসরি যোগ রয়েছে। বেশিরভাগ নামি ব্র্যান্ডের পাউডারে প্রচুর মাত্রায় স্টার্চ থাকে। যা শরীরে বিভিন্ন অংশ জমতে জমতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

কেউ যদি দীর্ঘ দিন শরীরের গোপন অংশে পাউডার লাগান, তাহলে এক সময় গিয়ে ওভারিয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যায়।

যেভাবে বুঝবেন ওভারিয়ান ক্যানসার

যে কোনো রোগে অবশ্যই কিছু লক্ষণ দেখে দেবে। এসব লক্ষণ দেখে আপনি প্রাথামিকভাবে বুঝতে পারবেন কি সমস্যা হয়েছে। আসুন জেনে নেই ওভারিয়ান ক্যানসারের কিছু লক্ষণ।

অস্বাভাবিক ব্যথা

আপনার তলপেটে কি অস্বাভাবিক ব্যথা হয়? তবে এই ব্যথা বদহজম বা পিরিয়ডের ব্যথা থেকে আলাদা। এছাড়া ব্যথা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

কোমরের ব্যথা

পেটে ব্যথার কারণে আপনার পিঠের নিচের অংশে অসহ্য ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণ কোনো ব্যথা নয়।

হজমের সমস্যা

বমি বমি ভাব, গ্যাস, বুক জ্বালা ও হজমের সমস্যা এগুলো সব ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ।

পেট ফুলে যাওয়া

পেটে গ্যাস হওয়া, হঠাৎ করে জামাকাপড় টাইট হয়ে যেতে পারে। টিউমার বড় আকার ধারণ করার ফলে এসব সমস্যা হতে পারে।

খিদে কমে যাওয়া

ক্যানসার হলে শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে। ফলে খাবার হজম না হওয়া, খিদে কমে যায় ও খাওয়ার রুচি হারিয়ে যায়।

খুব অল্প কাজে বেশি ক্লান্ত

আপনি যদি অল্প কাজে বেশি ক্লান্ত অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে যে কোন বড় রোগের পূর্ব লক্ষণ এটি।

ঘনঘন প্রস্রাব

ঘনঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা ওভারিনের ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। ইউরিন ইনফেকশন হলে এটি হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এই সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া

ওভারিয়ান ক্যানসার হলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিতে পারে। বেশিদিন ভুগতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া

ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ক্যানসারে শুরুর দিকে এই লক্ষণটি দেখা দিয়ে থাকে।

গোপনাঙ্গে রক্তপাত

ওভারিয়ান ক্যানসার হলে গোপনাঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। এই সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

ওভারিয়ান ক্যান্সারের স্টেজ

স্টেজ ১: একটি বা উভয় ওভারিতে ক্যান্সার ছড়ানো

স্টেজ ২: ওভারি থেকে তলপেটের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়া

স্টেজ ৩: পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়া

স্টেজ ৪: সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া

এই ক্যানসার শুরুটা হয় ওভারিকে ঢেকে রাখা টিস্যুতে। ফলে পেটের অন্যান্য অঙ্গে যেমন ব্লাডার, অ্যাবডোমিনাল লাইনিং এ তা ছড়িয়ে পড়তে পারে দ্রুত। এরপর তা ফুসফুস এবং যকৃতেও ছড়াতে পারে।

 

সূত্র কলকাতা২৪ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.