217438

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৫ নম্বর সদস্য কে?

অনলাইন সংস্করণঃ- লাল সবুজ জার্সি গায়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে আসলে কারা যাচ্ছেন? শেষ পর্যন্ত দলে থাকছেন কোন ১৫ জন? তা নিয়ে ভক্ত-সমর্থক, অনুরাগি তথা শুভানুধ্যায়ীদের আগ্রহ ও কৌতুহলের কমতি নেই। তা নিয়েই যত কথা চারিদিকে। আলাপ-আলোচনা-পর্যালোচনা, গুঞ্জন চলছেই। পত্র পত্রিকা, অনলাইনে তা নিয়ে লেখালেখি চলছে বিস্তর।

জাগো নিউজের পাঠকরা দল সম্পর্কে আগাম ধারণা পেয়েছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সপ্তাহ খানেক আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড জানিয়েও দিয়েছিলেন। সব মিলে ১৩ জন সম্পর্কে কম বেশি অনেকেরই ধারণা পরিষ্কার। কিন্তু পুরো স্কোয়াড নিয়ে এখনো একটা ধোঁয়াটে অবস্থা আছে।

বিসিবি সভাপতি গত সপ্তাহে অবশ্য ১৩ থেকে ১৪ জনের নাম খুব জোর দিয়ে বলেছিলেন। এক থেকে দুজনার নাম বাকি ছিল। বিসিবি সভাপতি দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংগঠন ও ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান। তার অনুমোদন ছাড়া দল চূড়ান্ত হয় না, প্রকাশিতও হয় না।

সরাসরি দল গঠন তথা ক্রিকেটার নির্বাচন না করলেও অবস্থানগত কারণেই বিসিবি প্রধানও দল গঠন প্রক্রিয়ার অংশ। তারপরও নাজমুল হাসান পাপন জোর দিয়ে বলতে পারেননি যে, এই ১৫ জনই বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড যাবেন।

দু একটি নাম নিয়ে সংশয় থেকেই গেছে। আজ পড়ন্ত বিকেলে স্থানীয় এক পাঁচতারকা হোটেলে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়েও দল নিয়ে আবার কথা বলেছেন বিসিবি বিগ বস।

এবারো আগের মতই তার কন্ঠে সংশয়। নাজমুল হাসান পাপন স্বীকার করেছেন যে দুটি জায়গা খালি আছে, তা কাকে দিয়ে পূর্ণ করা হবে, তা একটু জটিল হয়ে গেছে। কারণ সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রায় সবাই পারফরম করছেন।

তাইতো বিসিবি প্রধানের মুখে এমন কথা, ‘সব থেকে বড় সমস্যাটা হচ্ছে এখন সবাই পারফর্ম করছে। ওরা পারফর্ম করাতেই চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে। ওরা যদি পারফর্ম করতে না করতো তাহলে সুবিধা হতো।’

১৫ নম্বর সদস্য কে হবেন, বা কাকে দিয়ে ১৫ নম্বর জায়গা ফিক্সড করা হবে? এ প্রশ্ন এখন বোর্ড সভাপতির মনেও। তিনি বলেন, ‘এখন সবার আগে একটা প্রশ্নই আসছে, আমরা কোন পজিশনে পারফরমার নেব? একজন বোলার নেব নাকি ব্যাটসম্যান।’

এ কথা বলার পাশাপাশি দলের সম্ভাব্য গঠন শৈলিটা আরও একবার মেলে ধরেছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার কথায় পরিষ্কার, ইতিমধ্যে পেসার ও স্পিনার মিলে ছয়জন স্পেশালিষ্ট বোলার নির্বাচন শেষ।

‘পেস বোলিংয়ে সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ, মাশরাফি ও রুবেল আছে। আর স্পিনে সাকিবের সঙ্গে মিরাজ আছে। ছয় জন বোলার আছে। এখন ব্যাটসম্যান যদি নেই তাহলে কোথায় নেব? ওপেনিংয়ে নাকি মিডল অর্ডারে। এছাড়া তেমন কোনো অপশন নেই। বিজয় ভালো খেলছে, তিনটা সেঞ্চুরি করেছে। জহুরুল অমি ভালো করেছে ধারাবাহিকভাবে কিন্তু ওর নাম এখন আসছে না। নতুনদের মধ্যে (ভাবনায় না থেকে নতুন করে ভাবনায় আসা) ফরহাদ রেজা অসাধারণ খেলে যাচ্ছে ।

‘মোসাদ্দেক আবার আগের ছন্দে ফেরত এসেছে। অভিজ্ঞতাও আছে। পেসার আল-আমিন পাঁচ উইকেট পেয়েছে, অসাধারণ বোলিং করে। যে কেউই আসলে আসতে পারে। ইয়াসির আলীর কথা পত্রিকায় দেখেছি। ও ভালো খেলছে। আসলে কে যাচ্ছে সেটা বড় কথা না। কোন পজিশনের জন্য নেব সেটাই চিন্তার। ওপেনিংয়ে যদি নেওয়া হয় তাহলে বিজয়, জহুরুল, ইমরুল বাদে তো কাউকে দেখি না। মিডল অর্ডারে যদি নেওয়া হয় অবশ্যই মোসাদ্দেক ভালো কনটেন্টার, ইয়াসির আলীও একজন ভালো কনটেন্টার। এইই আর কি।’

বিসিবি সভাপতির মুখে পেসার তাসকিনের নাম উচ্চারিত হয়নি একবারও। তার কথায় পরিষ্কার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর ইয়াসির রাব্বির যে কেউ মূল দলে থাকবেন। তবে তার আগে দুজনকেই আয়ারল্যান্ডগামী ১৭ জনের মধ্যে রাখা হবে।

 

সূত্র জাগোনিউজ২৪ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.