217082

আগুন লাগলে সেলফি না তুলে এক বালতি পানি আনুন: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সংস্করণঃ- অগ্নিকাণ্ডের স্থানে মানুষের সেলফি তোলার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগলে কিছু মানুষ অযথাই ভিড় করে। ফায়ার সার্ভিস যখন অগ্নিনির্বাপণে যায়, তখনও কিছু লোক সেখানে ভিড় করে, তাদের মারতে যায়, এমনকি বনানীর আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। একেকটা গাড়ির দাম আট থেকে দশ কোটি টাকা। তারা উদ্ধারকারীদের ওপর হামলা না চালিয়ে যদি এক বালতি করে পানিও নিয়ে যেতো, তাহলেও কাজ হতো।’

শুক্রবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভায় এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

অগ্নিকাণ্ডের স্থানে ছবি তোলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে সেখানে যায়, সেলফি তোলে। আগুন নেভানোর কাজ না করে সেলফি তুলতে যে কী আনন্দ তা আমি বুঝি না! তা না করে সবাই এক বালতি করে পানি আনুক, আগুন নেভানোর চেষ্টা করুক। এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৈত্র বৈশাখে আগুনের প্রবণতা থাকে। ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টা ছিলো। ফায়ার সার্ভিসের ওপর কিছু মানুষ চড়াও হয়। যারা উদ্ধার করতে যায় তাদের বাধা দেওয়া ও মারা এটা কেমন কথা? ফায়ার সার্ভিসের একজন আহত হয়েছে। তারপরও আগুন লাগলে তারা কাজ করে যাচ্ছে। একটা কম বয়সী মানুষ উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ সঙ্কটে ভুগছে।

তবে সম্প্রতি কয়েকটি আগুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও কিছু লোক দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও নিজের দায়িত্বের জায়গা থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। ইউনিভার্সিটির ছেলেরা এসেছিলো, পরে তাদের বললাম ভলান্টিয়ার হয়ে কাজ করতে। তবে কিছু মানুষ অযথা ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকে, তারা দাঁড়িয়ে না থেকে জায়গাটা খালি রাখলেও উদ্ধারকারীদের জন্য কাজ সহজ হয়। আগে ঢাকায় খাল-বিল ছিলো, এখন সব ভরা হয়েছে, ফলে পানির অভাব। দালান করার আগে জলাধার থাকার বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আয়-বৈষম্য কমিয়ে এনে উন্নয়নের ছোঁয়া যেনো প্রতিটি আনাচে কানাচে পৌঁছে যায়, আমরা সেই কাজগুলো করে যাচ্ছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, এগুলো শেষ হলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। হত দরিদ্র বলে কেউ থাকবে না, তৃণমূলের মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এখন কেউ চাইলে কিন্তু অর্থ উপার্জন করতে পারে, চাইলে কাজ করতে পারছে লোকজন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষ যেহেতু বিশ্বাস রেখেছে, সেই বিশ্বাস রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। ২০৭১ সালে আমরা হয়তো থাকবো না, যারা থাকবে, উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে তারা স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে।’

 

সূত্র বিডি জার্নালঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.