216645

অগ্নিকাণ্ড থেকে নিজে বাঁচার এবং অপরকে বাঁচানোর জন্য এগুলো শিখে রাখুন

কিছুদিন ধরে অগ্নিকাণ্ডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। সে কারণে রাজধানীর বাণিজ্যিক ভবন, বাসাবাড়ি ও কলকারখানার অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়ছে বিভিন্ন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও সরঞ্জামের চাহিদা। ফলে ক্রমেই বড় হচ্ছে এসবের বাজার।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে যেসব নতুন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি হয়, তার একটা বড় অংশ আমদানি করা হয়। বেশিরভাগ আসে চীন থেকে। অগ্নিনির্বাপণে সর্বত্র ব্যবহৃত হয় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর বা হিট ডিটেক্টর। এই উপকরণগুলো আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

রাজধানীর নবাবপুরসহ গুলিস্তানের আশপাশের দোকানেই বেশি বিক্রি হয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের আমদানিকারক এবং বিক্রেতা শ্যামা ইন্টারন্যাশনালের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান জানান, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও সরঞ্জামের বর্তমানে চাহিদা বেশ ভালো। এখন মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন। ভবনের মালিকেরা আগে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম কিনে রাখছেন।

কীভাবে ব্যবহার করবেন

RFL Gas Stoveআগুন নেভাতে সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী মাধ্যম অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। যন্ত্রটি ভবনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করে রাখতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটলে যন্ত্রটি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

প্রাথমিক অবস্থাতেই আগুনের ওপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতে হয়। এর হাতল ডান হাতে ধরে বাম হাত দিয়ে টান দিয়ে নিরাপত্তা (সেফটি) পিন খুলে ফেলতে হবে। এরপর বাম হাতে হোস পাইপ আগুনের দিকে তাক করে ডান হাত দিয়ে বোতাম বা লিভার চাপতে হয়।

দরদাম

মানের ওপর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও সরঞ্জামের দাম নির্ভর করে।ছয়শ থেকে আড়াই হাজার টাকায় ফোম ও ড্রাই পাউডার ফায়ার এক্সটিংগুইশার পাওয়া যায়। আর কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাসের এক্সটিংগুইশারের দামদুই হাজারথেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে। ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর বা হিট ডিটেক্টরের মতো যন্ত্রাংশ। এ ছাড়া ফায়ার বলের দাম এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।

কোথায় পাবেন

নবাবপুর, গুলিস্তান, হাটখোলা, পুরান ঢাকাসহ বর্তমানে রাজধানীর অনেক মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনলাইন দোকান যেমন দারাজ ডটকম, অথবা ডটকম, আজকেরডিল ডটকমসহ বেশকিছু অনলাইন শপে যন্ত্রটি পাওয়া যায়।

সতর্কতা

* ফায়ার এক্সটিংগুইশার সব সময় বাতাসের অনুকূলে থেকে প্রয়োগ করতে হয়, যাতে রাসায়নিক পাউডার, গ্যাস বা ফোম উড়ে এসে নিজের গায়ে না পড়ে।

* আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ ২ মিটার দূর থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতে হয়।

* আগুন ছোট আকারে যখন থাকে, তখন ফায়ারম্যানের অপেক্ষায় না থেকে হাতের কাছে থাকা ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মাধ্যমে আগুন নেভানো যায়।

* ফায়ার এক্সটিংগুইশার একবার ব্যবহার হয়ে গেলে একই সঙ্গে পুরোটাই ব্যবহার করে ফেলতে হয়। এটি দ্বিতীয়বার ব্যবহারযোগ্য নয়।

* কোনো কারণে এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করেও আগুনের নিয়ন্ত্রণ আনা না গেলে বা আগুন বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে আগুনের প্রাথমিক অবস্থা পেরিয়ে গেছে। তখন অবশ্যই নিরাপদ অবস্থানে চলে যেতে হবে এবং দ্রুত ফায়ারম্যানকে খবর দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমআলো

পাঠকের মতামত

Comments are closed.