215938

জেনে নিন কালোজিরার আশ্চর্যসব ওষধিগুণ!

অনলাইন সংস্করণঃ- নানা ধরনের রান্নায় ও মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবারে স্বাদ বাড়াতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল কালোজিরা।

তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞানীরা বলেন – একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ কালোজিরা। কালোজিরার এতোসব গুণের কথা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা।

পুষ্টিবিদরা বলেন, কালোজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফসফেট, ফসফরাস আর আয়রন, যা দেহের জন্য অতিমাত্রায় উপকারী।

নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন – এই কালোজিরা ‘সাম’ (মৃত্যু) ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। (সহীহ বুখারী)

আসুন জেনে নিই কালো জিরার আশ্চর্য সব স্বাস্থ্যগুণ –

যৌন দুর্বলতা

কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে খান। এতে গোপন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে

কালোজিরাতে থাকা ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরার ভূমিকা অতুলনীয়।

মাথাব্যথা

মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। তিন দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন উপকার পাবেন।

চুলপড়া

লেবু দিয়ে সব মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তার পর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।

কফ ও হাঁপানি

বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে এটি মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।

মুত্রথলির সংক্রমণ ঠেকাতে

কালোজিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই যন্ত্রণামুক্ত ও পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্য খাবারের সঙ্গে রাখুন কালোজিরা। এতে মুত্রথলির সংক্রমণ রোধ হবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও অ্যাজমায় উন্নতি ঘটে

এক চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমার সমস্যার উন্নতি ঘটে।

ডায়াবেটিস

কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

মেদ ও হৃদরোগ

চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক: এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামুচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।

চোখে সমস্যা

রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।

উচ্চ রক্তচাপ

যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুণ। এটি ২-৩ দিন পরপর করা যায়।

জ্বর

সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ কালোজিরা তেল পান করুণ। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ করুন।

স্ত্রীরোগ

প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার খান।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি

অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।

বাত

পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

দাঁত শক্ত করে

দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন দুবার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।

ওজন কমায়

যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। পান করে দারুণ উপকার পাবেন।

 

 

সূত্র যুগান্তরঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.