লোকাল বাসে এলাকায় অতঃপর ঢাকায় ফিরলেন মতিয়া চৌধুরী
আবুল বাশার নূরু : একজন সাধারণ মানুষের মতোই যাত্রীবাহী বাসে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেলেন এবং ঢাকায় ফিরলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। ২৯ মার্চ মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত ১১টায় নিলয় নামে একটি নালিতাবাড়ীগামী বাসে ওঠেন তিনি। রাত ৩টার দিকে নকলায় পৌঁছান এবং রাতযাপন করেন। পরদিন দুপুর ১২টায় নকলা চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মতিয়া চৌধুরী।
রোববার সকাল ১০টায় একটা ভাড়া করা মাইক্রোবাসে নালিতাবাড়ী উপজেলায় এসে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে নকলা থেকে রাতেই ঢাকা ফিরেন তিনি।
ওই দিন মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে একই বাসের সামনের সিটে বসে আসা নাজমুল হাসান স্বর্ণ বলেন, আমার নিজ বাড়ি নকলায় যাওয়ার উদ্দেশে শুক্রবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে একটি নাইট কোচে উঠি। গাড়ির লাইটগুলো নেভানো থাকায় চালকের সহকারী আমাকে নির্দিষ্ট আসনে বসিয়ে দেন। আমি অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। এ সময় পরিচিত কণ্ঠে কেউ একজন চালকের কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কার সঙ্গে যেন কথা বলছেন। পরিচিত কণ্ঠ হওয়ায় আমি লোকটিকে খুঁজছিলাম।
এমন সময় ওই লোকটি আমার পাশ দিয়ে তার সিটে যাওয়ার সময় অন্য গাড়ির হালকা আলোতে তাকে চিনে ফেললাম, তিনি হলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর গানম্যান রেজাউল করিম। আমার পরিচিত হওয়ায় তার হাত ধরতেই ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিলেন আমার পেছনের সিটে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রয়েছেন। আমি তার হাত ছেড়ে দিলাম। পরে আমরা শেরপুর এসে নামি।
মতিয়া চৌধুরীর পাবলিক বাসে আসা-যাওয়ার বিষয়ে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, মতিয়া আপা মন্ত্রী থাকার সময় বেতন-ভাতার টাকা দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় সেবামূলক কাজ করেছেন। নিজের জন্য কোনো দিন কিছুই জমা রাখেননি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর বাসে করে কম খরচে তিনি এলাকায় এসেছেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এতে কোনো রাজনীতিও নেই।