215608

এমন নৃশংসতাও হয়! শুধু ধর্ষণেই মন ভরেনি টাঙ্গাইলের সখীপুরের দুলালের

নিউজ ডেস্ক।। আর কদিন বাদেই প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হতো মেয়েটি। জ্ঞান-বুদ্ধির তেমন প্রসার হয়নি, তাই আপন মনে খেলে বেড়াতো উঠান থেকে উঠানে কিংবা মাঠে। কিন্তু তার এই দুরন্তপনা যে কাল হবে ভাবতে পারেনি মেয়েটি। দুলাল হোসেনের চকলেটের লোভে তার সঙ্গে গিয়ে ধর্ষণ হয় সে।

শুধু ধর্ষণেই মন ভরেনি দুলালের। মেয়েটির যৌনাঙ্গে লোহার নাট ঢুকিয়ে দেয় সে। বাসায় ফিরে আসার পর মেয়েটির পরিবারের গোচয় হয় তা। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করে ওই লোহার নাট বের করে আনেন চিকিৎসকরা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর লোকে মুখে শুধু একটা কথাই ঘুরে ফিরছে, এমন নৃশংসতাও হয়!

ঘটনা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার। ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা অভিযুক্ত দুলালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণ থেকে ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে মেয়েটি খেলতে যায়। এক পর্যায়ে খেলাচ্ছলে দুলালের বাড়ির পাশে চলে যায় সে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে দুলাল। একপর্যায়ে তার যৌনাঙ্গ দিয়ে লোহার নাট ঢুকিয়ে দেয় সে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা তার বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। তবে বাড়ির পেছনের একটি দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় দুলাল।

ভুক্তভোগী মেয়েটির মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি আমাদের সময়কে জানান, ঘটনার পর তার মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসেন তারা। পরিবারের কাছে ঘটনার বিবরণ দিলেও প্রথমে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যথা অনুভব করলে মেয়েকে নিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তারা।

কাল শুক্রবার সেখান থেকে নিয়ে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যৌনাঙ্গ থেকে নাট বের করে আনেন চিকিৎসকরা।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে দুলাল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরই দুলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। সুত্র : আমাদেরসময়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.