214726

সমকামিতার সঙ্গে একমত হতে না পেরে চার্চ থেকে বেরিয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী!

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হবার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এক সংকটপূর্ণ মুহূর্তে যে নেতৃত্বগুণ দেখিয়েছেন– তা বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিবিসির সাবেক সাংবাদিক রবিন লাস্টিগ জানিয়েছেন, অনেক দিক দিয়েই এটা ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের এক চমৎকার উদাহরণ।

“শুধু তার বক্তব্যের জন্য নয়, আসল কথাটা হলো- তিনি জাতির সেই মুহূর্তে কী প্রয়োজন সেটা উপলল্ধি করেছেন এবং এমনভাবে তাতে সাড়া দিয়েছেন যে তা এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”

সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছেন জাসিন্ডা আরডার্ন ‘নেতৃত্ব কাকে বলে তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি” – বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক ওয়েবসাইটে মন্তব্য করেন গ্রেস ব্যাক নামে একজন।

ওই আক্রমণের ভিডিও জনসভায় দেখিয়ে সমালোচিত হওয়া তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আরডার্নের সহমর্মিতা এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের কলামিস্ট সুজান মুর লেখেন, “সন্ত্রাস মানুষের ভিন্নতাকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, আর আরডার্ন তাকে সম্মান দেখিয়েছেন এবং তার সাথে যুক্ত হতে চেয়েছেন।”

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যম বলেছে, জাসিন্ডা আরডার্ন একটিও ভুল পদক্ষেপ নেননি। তিনি এমনভাবে সঠিক কথাগুলো বলেছেন যা খুব নেতাই বলতে পেরেছেন।

‘নেতা কাকে বলে দেখিয়েছেন তিনি’ জাসিন্ডা আরডার্নের বয়স ৩৮। তিনি নিজেকে বলেন একজন সমাজবাদী গণতন্ত্রী বা সোশাল ডেমোক্র্যাট ও প্রগতিশীল।

তিনি প্রধানমন্ত্রী হন ৩৭ বছর বয়েসে। তিনি একজন ‘অজ্ঞেয়বাদী’ বা এ্যাগনস্টিক – যারা ঈশ্বর আছেন কি নেই – তা জানতে চান না বা এ নিয়ে মাথা ঘামান না। তবে তিনি বড় হয়েছেন মরমোন খ্রিস্টান হিসেবে। তবে সমকামিতা সম্পর্কে এই চার্চের ধারণার সাথে একমত হতে না পেরে তিনি তা ত্যাগ করেছেন।

তিনি সন্তান জন্মের পর ৬ সপ্তাহের মাতৃ্ত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন, প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে শিশুকে স্তন্যপান করিয়েছেন। জাসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বের প্রথম সরকার প্রধান যিনি জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে তার শিশুসন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.