সৌম্য রেকর্ড গড়েও দলকে লজ্জার হাত থেকে বাাঁচাতে পারলেন না!
ডেস্ক রিপোর্ট : সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরির পরও ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। হ্যামিল্টনের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংস ও ৫১ রানে হার মানে সফরকারীরা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। পিছিয়ে ছিল ৩০৭ রানে। পরে চতুর্থ দিন পঞ্চম উইকেট জুটিতে দারুণ খেলে ২৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ।
তৃতীয় দিন শেষে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য এদিন ক্যারিয়ারে ১২তম টেস্টে অভিষেক সেঞ্চুরির দেখা পান। আর এই সেঞ্চুরি করার পথে ছুঁলেন তামিম ইকবালের দেশের হয়ে দ্রুততম টেস্ট শতকের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৭১ বলে ১৪৯ রান করে। ইনিংসে ২১টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এর আগে সৌম্য ৬০ বলে ফিফটির দেখা পান। তবে পরের অর্ধশতক তুলে নিতে মাত্র ৩৪ বল খেলেন।
তামিম ও সৌম্যর দখলে এখন টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। যদিও রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি। ৯২ বলে ৯৯ রানের সময় টিম সাউদির করা পরের শর্ট বলটি ঠিক মতো খেলতে পারেননি। তবে ৯৪ বলে সেঞ্চুরিতে তামিমের কীর্তি ছুঁয়েছেন সৌম্য। তামিমের রেকর্ডটি ৯ বছর পুরোনো। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে বিখ্যাত সেই ইনিংসের পথে তামিম ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন।
সৌম্যর পর সেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। শুধু সেঞ্চুরি করেই বসে থাকনেনি। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। শেষ পর্যন্ত তিনি টিম সাউদির বলে বোল্টকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২২৯ বলে ২১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৪৬ রান করেন। গত বছরই মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ১৩৬ রান ছিল আগের সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে এ দু’জন ছাড়া ওপেনার তামিম ইকবাল প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ৭৪ রান করেছিলেন। আর আরেক ওপেনার শাদমান ইসলাম করেন ৩৭। তবে দলের আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারায় ইনিংস পরাজর বরণ করতে হয় টাইগারদের।
ক্যারিয়ারে অষ্টমবার পাঁচ উইকেটের দেখা পান ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া টিম সাউদি ৩টি ও নেইল ওয়াগনার দুটি উইকেট পান। কিউইদের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।