207115

দেশের মাটিতে পা রেখে এই প্রথম মুখ খুললেন ভারতের পাইলট অভিনন্দন

ডেস্ক রিপোর্ট : অপেক্ষার অবসান হয়েছে শুক্রবার রাতে। দেশে ফিরেছেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। আর ভারতের মাটিতে পা রেখেই দিয়েছেন তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া।

গত বুধবার ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন বায়ুসেনার ওই উইং কমান্ডার।

পাক-যুদ্ধবিমানকে ভাঙতে পারলেও তাঁর মিগ-২১টি ভেঙে পড়ে। শেষমুহূর্তে প্যারাশ্যুটে ঝাঁপ দেওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। কিন্তু পাকিস্তানি সেনার হাতে আটকে পড়েন।

তার পর পাক সেনার হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।

তাই দিনতিনেক ইমরান খানের দেশে কেমন ছিলেন তিনি, সেটাই জানার অপেক্ষায় রয়েছে আসমুদ্রচলহিমাচল। তিনি এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখে কথা বলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে।

সেই আধিকারিকদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন ভারতের মাটিতে পা রাখার পর কী ছিল অভিনন্দনের প্রথম প্রতিক্রিয়া। ওই আধিকারিকের দাবি, অভিনন্দন ভারতের মাটিতে পা রেখে বলেন, ”নিজের দেশে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে।”

বায়ুসেনার অত্যন্ত দক্ষ অফিসার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরাতে পেরে খুশি বায়ুসেনার আধিকারিকরা। সেই খুশি তাঁরা ট্যুইটারের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

শুক্রবার রাতেই এয়ার ভাইস মার্শাল আরজিকে কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনদিন যথেষ্ট চাপের মধ্যে ছিলেন অভিনন্দন। তাই তাঁর সম্পূর্ণ মেডিক্যাল টেস্ট হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।

তার পাল্টা হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আরও একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।

সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ও ছিল। সেই তিন যুদ্ধবিমানের একটিকে তাড়া করতে গিয়েই পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়েছিলেন অভিনন্দন। জিনিউজ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.