ইমরান খানের কাছে রাজনীতি খেলায়ও হেরে গেলেন মোদী?
ডেস্ক রিপোর্ট: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে বিশ্বসহ দেশ দুটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও। গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশও এ প্রভাবের বাইরে থাকবে না। পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট অভিনন্দন আটকের পর নিজ দেশে বেশ চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ ঘটনা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মোদিকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ইতিমধ্যে বিরোধী দলগুলো মোদির সমালোচনায় উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, এ মহাদেশের দুই বৃহৎ সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান। দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এর প্রভাব মহাদেশের সব দেশের ওপর পড়বে। আর যুদ্ধ জড়ালে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। এয়ার স্পেস কমে যাবে।
কয়েকদিনের যে ঘটনাপ্রবাহ তাতে এখন পর্যন্ত কিছুটা বিপাকে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ একজন ভারতীয় পাইলট পাকিস্তানের হাতে বন্দি আছেন। এ পাইলটকে ফেরত নেওয়াটা মোদির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি এর শান্তিপূর্ণ সুরাহা করতে না পারলে আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ ইতিমধ্যে বিরোধী দলগুলো এ ইস্যুতে সরব হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তান থেকে ভারত বহুযোজন এগিয়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার এন্তার অভিযোগ রয়েছে। দুই দেশ এর আগে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।
সুতরাং তারা জানে এ অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটাতে হয়। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ও বিরোধী দলগুলো এর সুফল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনে পাক-ভারতের এ উত্তেজনাকে ব্যবহার করে জনগণকে নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করবে পরস্পর। সরকারি দল নিজ সফলতা আখ্যা দিয়ে প্রচারের চেষ্টা করছে। আর বিরোধী দলগুলো সুর মিলিয়েছে সরকারের ব্যর্থতা বলে।