203530

পেটে ব্যথায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দোয়াটি পড়তে বলেছেন

ইসলাম ডেস্ক।। পেটে ব্যথার বিষয়ে হাদীসে একটি কার্যকরী দুআ বর্ণিত হয়েছে। উছমান ইবন আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তার পেটের ব্যথার কথা বলেন। উছমান (রা.) বলেন, ব্যথায় আমাকে অস্থির করে তুলেছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি তোমার ব্যথার স্থানকে ডান হাত দিয়ে সাতবার মাসেহ কর এবং বল, “আউযূ বি-ইযযাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররিমা- আজিদু।”

রাবী উছমান (রা.) বলেন, আমি এ রূপ করার সাথে সাথেই আল্লাহ আমার কষ্ট দূর করে দেন। এরপর থেকে আমি আমার পরিবার-পরিজন ও অন্যান্যদেরকে এরূপ করার নির্দেশ দেই। আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮৫১.।

অন্যরা যা পড়ছেন… শিশুদের বিষয়ে মাসআলা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা : ইসলাম ডেস্ক।। হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন: ১. স্বর্ণ ও মেহেদির ব্যবহার : পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। আর চুল-দাড়ি ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেহেদি লাগানো জায়েজ নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন, এ বিধান শুধু বড়দের জন্য। তাই নাবালেগ বাচ্চাদেরকে স্বর্ণের আংটি রানো, মেহেদি লাগানোকে দোষের মনে করা হয় না। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ছেলে শিশুদের জন্যও স্বর্ণ ব্যবহার করা, মেহেদি লাগানো নিষিদ্ধ।(ফাতওয়ায়ে শামী ৬/৩৬২)

২. শিশুদের প্রশ্রাব নিয়ে ভ্রান্তি ও বিড়ম্বনা : কেউ কেউ মনে করেন যে, বাচ্চা যত দিন দুধ পান করবে ততদিন তার প্রশ্রাব নাপাক নয়। কারণ যতদিন শুধু দুধ পান করে ততদিন বাচ্চার প্রশ্রাব বেশি দুর্গন্ধ হয় না। এ ধারণা ভুল। এ ধরণের বাচ্চাদের প্রশ্রাবও যে নাপাক তা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। (শিশুর) প্রশ্রাব দুর্গন্ধময় হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় তা নাপাক। দুর্গন্ধ না হলে নাপাক হবে না এ ধারণা ভুল। (বুখারী শরীফ ১/৩৫; তিরমিজি শরীফ ১/২১)

৩. ছেলে-মেয়ের প্রশ্রাবের মাঝে পার্থক্য করা : অনেকে ছেলে শিশুর প্রশ্রাবকে নাপাক মনে করে না। শুধু মেয়ে শিশুর প্রশ্রাবকে নাপাক মনে করে। এ পার্থক্য ঠিক নয়। ছেলে-মেয়ে উভয়ের প্রশ্রাবই নাপাক এবং তা পবিত্র করার নিয়মও একই।(মাআরিফুস সুনান ১/২৬৮-২৬৯; রদ্দুল মুহতার ১/৩১৮)

৪. মেঝেতে শিশুর প্রশ্রাব পড়লে তার পবিত্রতার নিয়ম নিয়ে ভ্রান্তি : মেঝে যদি মাটির হয় তাহলে তা শুকিয়ে প্রশ্রাবের চিহ্ন ও দুর্গন্ধ চলে গেলে ঐ স্থান পবিত্র হয়ে যায়। কিন্তু সাধারণত ঐ স্থানকে পবিত্র করতে গিয়ে প্রয়োজনের অধিক কসরত করতে দেখা যায়। আর মেঝে পাকা হলে প্রশ্রাব মুছে নিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মেঝে মুছে দিলে এবং প্রশ্রাবের প্রভাব ও দুর্গন্ধ চলে গেলেই তা পবিত্র হয়ে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও অনেকে প্রয়োজনের বেশি কষ্ট করতে থাকে। ঐ স্থান নতুন পানি দিয়ে মোছার পর তা শুকিয়ে গেলেও পবিত্র মনে করা হয় না। বরং তিনবার পানি ঢেলে প্রতিবার শুকনা করে না মোছা পর্যন্ত পবিত্র ধরা হয় না। ঐ স্থানে ভিজা পা পড়লে পা অপবিত্র হয়ে যাওয়ার ধারণা করা হয়। অথচ সতর্কতার বাড়তি এ কষ্টটুকু মাসআলার সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে হয়ে থাকে। অথচ পাকা মেঝেতে প্রশ্রাব পড়ে তা শুকিয়ে গেলে এবং প্রশ্রাবের চিহ্ন ও দুর্গন্ধ চলে গেলে মোছা ছাড়াই ঐ স্থান পবিত্র হয়ে যায়। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৩২;ফাতহুল কাদির ১/২০৩)

৫ . কুরআন শরীফ স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পবিত্রতা বিষয়ে অবহেলা : শিশুর কষ্টের দিকে লক্ষ্য করে হিফজ ও কুরআন-শিক্ষার্থী শিশুদের অজুর ব্যাপারে শিথিলতার কথা কিতাবাদিতে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে এ মাসআলার উপর ব্যাপকতার ভিত্তিতে আমল করতে গিয়ে বাচ্চাদের পবিত্রতার বিষয়ে মোটেও গুরুত্ব দেয় না। এটা ঠিক নয়। বরং কুরআন মাজিদের সম্মান ও আদবের দাবি হল, যে শিশু বুঝমান, সে বালেগ না হলেও তাকে অজুর সাথেই কুরআন স্পর্শ করার ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। শিশুদেরকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা বড়দেরই দায়িত্ব।(জামিউ আহকামিস্সিগার ১/৩৪)

পাঠকের মতামত

Comments are closed.