অপুকে পার্লামেন্ট বানানটা ইংরেজিতে লিখতে বললে সে পারবে না: সোহেল রানা
বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের ‘ড্যাশিং হিরো’- খ্যাত নায়ক সোহেল রানা। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেন এর বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারী) একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সোহেল রানা দেশের চলচ্চিত্র এবং তারকাদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে কথা বলেছেন। তার মুঠোফোনে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আরেফিন সোহাগ।
আমরা দেখেছি আপনিসহ আপনাদের সময় রাজনীতিতে বেশ কয়েকজন সক্রিয় ছিলেন। সে ক্ষেত্রে কি বলবেন?
সোহেল রানা: আগে বুঝতে হবে রাজনীতি কি? রাজনীতি হচ্ছে দেশের জন্য কাজ করা। এখন মনে করেন আমি জীবনেও জনগণের পাশে দাঁড়াইনি, তাহলে আমি কি করে এমপি হবার স্বপ্ন দেখবো? ঠিক এমনই বলবো যে, রাজনীতে হচ্ছে দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করা। এক সময় নায়িকা কবরী রাজনীতিতে এসেছেন কিন্তু তিনি বিগত সময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছেন। আমি দেখেছি যে শ্যুটিং এ বসেও রাজনীতির বই পড়তেন তিনি। তারপর যদি বলি কন্ঠশিল্পী মমতাজের কথা, মমতাজ তার বাবার সাথে পথে পথে জনগণের জন্য কাজ করেছেন। পরিশ্রম করেছে। এখন সবাই যদি ফারুখ, মততাজ আর কবরী হতে চাই কি করে হবে? সেটা তো হওয়া সম্ভব না।
অপু বিশ্বাসের রাজনীতিতে আসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল রানা বলেন, ‘অপু সে কোথায় রাজনীতি শিখেছে জানি না। আদৌ সে রাজনীতি বুঝে কিনা আমার জানা নেই। তাহলে কেন সে রাজনীতি আসতে চাচ্ছে? আমি সত্যি নির্বাক! আমার মনে হয় তাকে যদি পার্লামেন্ট বানানটা ইংরেজিতে লিখতে বলা হয় সে পারবে না। এদিক ওদিক তাকাবে! শুধু অপু না আরও অনেকে আছে যারা পারবে না। তাহলে পার্লামেন্টে বসে কি ইয়েস নো বলার জন্য আপনারা এমপি হবেন? হাস্যকর বিষয়। এটা অভিনয় নয়, এটা রাজনৈতিক জায়গা। নিজেকে যোগ্য করে রাজনীতিতে আসুন। বিষয়টি যেন প্রধানমন্ত্রী বিবেচনায় রাখেন।’ সূত্র- বিডি ২৪লাইভ