200244

৫ বছর পর দেখবেন পিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রেজেন্টার ! ট্রলকারীরা পিছিয়েই থাকবেন

অনলাইন সংস্করণঃ- বিপিএল যেন বিতর্কের আরেক নাম। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি চালু হওয়ার পর থেকেই পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। তবু এবার বিপিএল কর্তৃপক্ষ আঁটঘাট বেধেই নেমেছিল টুর্নামেন্টটির জাঁকজমক আয়োজন করতে। তবুও কিছু না কিছু বিতর্ক লেগেই আছে। কখনো উইকেট নিয়ে, কখনো মাঠের খেলা নিয়ে আবার কখনো বা টিভি কমেন্ট্রি নিয়ে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল-উপস্থাপক পিয়া জান্নাতুল। তার এ পরিচয়ের বাইরে অন্য আরও পরিচয় আছে। তিনি একজন অ্যাডভোকেট, একজন ব্যবসায়ী। পিয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের হয়ে স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি প্রোগ্রাম করছেন। দিচ্ছেন বাংলায় লাইভ কমেন্ট্রিও। কিন্তু বিপিএল শুরুর দিন থেকেই পিয়ার একটি পোশাক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় চলে হাস্যরস। এর প্রতিক্রিয়ায় কী বলছেন পিয়া?

পিয়ার দিকে এ প্রশ্ন ছুঁড়তেই তার উত্তর ‘প্রথমতো আমি বলি ড্রেসটা আমি কিনেছিলামই শুধু বিপিএলে পরার জন্য। বিদেশ থেকে কিনেছিলাম, খুব দামী একটা ব্র্যান্ডের। কিন্তু দামী ব্র্যান্ডের জামা এটা শো-অফ করানোর জন্য না, আমার নিজের জন্য যে আমি শুরু করব আমার নিজের পছন্দের একটা জামা দিয়ে। অনেক ম্যাচ থাকে প্রত্যেকটা ম্যাচেই নতুন নতুন ড্রেস পরতে হয়।’

তবে এই ড্রেস নিয়ে কড়া সমালোচনায় ট্রল চলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। এ বিষয়ে এই বিপিএল কমেন্টার বলেন, ‘এদের আগ্রহ হচ্ছে শুধু মেয়েদের নিয়ে কথা বলা। মেয়েরা ক্রিকেটের মতো একটা জনপ্রিয় জায়গায় কেন আসবে এটা মেনে নিতে পারছেন না পুরুষরা।’

তার মন্তব্য, সব জায়গায় মেয়েকে নিয়ে কথা বলা একটা সেনসেশন হিসেবে কাজ করে। আর তার থেকেও বড় জিনিস কাজ করে ক্রিকেট, এটা বাংলাদেশের পছন্দের একটা জায়গা সেখানে মেয়েরা কেন ঢুকছে। মেয়েরা কেন আস্তে আস্তে ডমিনেট করছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এটা পছন্দ করছে না।’

সবাইকে পজেটিভ চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানিয়েছেন পিয়া। পিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার সঙ্গে বিনোদনও। তার কাছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণটির খেলা দেখতে ভালো লাগে। আর উপস্থাপনা করা নিয়ে পিয়া বলেন, ‘ভালো খুব ভালো, মজাও লাগছে। বিপিএল, বিপিএলের সাথে ক্রিকেট, ক্রিকেটের সঙ্গে এন্টারটেইনমেন্ট। টি-টোয়েন্টি আমার দেখতেও খুব ভালো লাগে। ‘

কিন্তু বিপিএলে তো দর্শকদের আনাগোনা কম। দর্শক না থাকলে উপভোগটা কীভাবে হয়- এমন প্রশ্ন করলে পিয়া বলেন, ‘না-না, দর্শক নেই বললে ভুল হবে। দর্শক কম্পারেটিভলি কম, দেখেন যখন ভালো ভালো দলের মধ্যে খেলা হয় তখন পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি ছিল।’

দুইটা ম্যাচ কাভার করতে গিয়ে একটু চাপ হলেও পিয়া উপভোগ করছেন। কিন্তু দুইটা ম্যাচের চারটা দল নিয়ে কতটুকু জানা সম্ভব হয়? এ ব্যাপারে পিয়া বলেন, ‘২টা ম্যাচ কাভার করতে একটু তো চাপ হবেই। তবে উপভোগ করি। আর যেটা বলবো সেটা হলো আমি যখন ইন্টারভিউ নেই তখন প্রশ্ন তো আমার কাছে থাকে না। শুধু স্কোরবোর্ডটা আমার কাছে থাকে। প্লেয়ারের নাম থাকে সেগুলো দেখে কাজ করি। আর প্রতিটা ম্যাচের আগে কিছুটা প্রিপারেশন থাকে। তবে খেলা দেখলে আপনার একটা ধারণা এমনিতে হয়ে যাবে। আর এটা কথা বলতে বলতে হয়ে যায়।’

পিয়া চান প্রেজেন্টার হিসবে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ তাকে চিনুক। বাংলাদেশ থেকে এ স্থানে কেউ যায়নি। তাই সবকিছুর পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন ক্রিকেটের মতো খেলার উপস্থাপনাকে পেশা হিসেবে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটা জায়গা যে মানুষ উপভোগ করছে। আমরা নিজেরাও উপভোগ করি। সো হোয়াই নট বিং দেয়ার? এবং সাথে সাথে আমি চাই, ইন্টারন্যাশনালি এখান থেকে ক্রিকেটে কেউ প্রেজেন্টার হিসেবে যায়নি, আমি চাই এটা কাভার হোক।’

যারা সমালোচনা করছেন, ট্রল করছেন তাদেরকেও বার্তা দিয়েছেন পিয়া। ‘এসব উল্টা-পাল্টা যেসব লোকজন আছেন তাদের বলতে চাই, আপনারা বাসায় বসে বসে ফেসবুকিং করবেন আমরাও মজা নেব। পাঁচ বছর পর দেখবেন অনেক পিছাইয়া আছেন,আর পিয়াকে দেখবেন ইন্টারন্যাশনালে প্রেজেন্টার হিসেবে আছে। এখানেই আমার সাফল্য,এখানেই আপনাদের বিফলতা।’ এভাবেই নিজের উচ্চাশা ব্যক্ত করেন পিয়া জান্নাতুল।

https://www.facebook.com/amadersomoy/videos/1124798871033743/

পাঠকের মতামত

Comments are closed.