200159

বিয়ের আগে কেন নারীদের মনে হাজারো প্রশ্ন? (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট  : নারীদের বিয়ের আগে কিছুটা আনমনা থাকতে দেখা দেয়। এর পেছনে আসলে অনেক কারণ থাকে। নানান প্রশ্ন তাদের মনে উঁকি দেয় হয়তো। আর এ কারণেই মেয়েদের বিয়ের আগে বেশ তটস্ত থাকতে দেখা দেয়। আর একারণে প্রায় রাত কাটে হয়তো নির্ঘুমভাবে। কিন্তু আসলে কেনো মেয়েদের মনে বিয়ের আগে এত প্রশ্ন জাগে?

বিয়ের সাজ: হাতে সময় থাকলে বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার ইচ্ছে ও পরিকল্পনার কথা তাকে জানান। অন্যান্য বিস্ময়গুলোর জন্য তার থেকে পরামর্শ নিন। মেকআপ বাজেটের কথা ভুলে যাবেন না।

https://www.youtube.com/watch?v=wVfP1W2DDUk

গহনা: বাঙালি মেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে আর সোনার গহনা পরবে না তা মেনে নেওয়া যায় কি? আর গহনা পরলেই তো হবে না, বিয়ের জন্য চাই স্পেশাল ডিজাইনের কিছু। এজন্য সাধ্যের মধ্যে থাকা ডিজাইনের কিছু কিনুন। খুব দামি কিছু না কিনতে পারলে অযথা মন খারাপ করবেন না।

নথ: বিয়ের সাজ পরিপূর্ণ করতে কন্যার নাকে নথ থাকা চাই। সাধারণত এখন অনেকেই নাক ফুটানোর কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ফলস রিং পরে থাকে। এজন্য সোনার রিং ছাড়াও স্টোনের রিং পাওয়া যায়। অন্যান্য গহনার সঙ্গে ম্যাচিং করেই নথ কেনাই ভালো। এখন রাজকীয় কারুকাজ করা নথের বেশ দেখা মেলে।

টিকলি: বিয়েতে সাধারণত চুলের মাঝ বরাবর সিঁথি করে টিকলি পরানো হয়। তাই বেশ মানায়। এখন টিকলিতে আছে আকর্ষণীয় ডিজাইন। টিকলিতে একটা বড় রঙিন স্টোন থাকলে আপনার সাজে অন্যরকম লুক দেবে।

ঝুমকো: বিয়েতে ভারি গহনার ব্যবহার প্রচলন বহুদিনের। তাই কানে অন্য কোন দুলের থেকে ঝুমকো বেশি মানায়। সোনার ঝুমকো প্রাধান্য পেলেও আধুনিক ডিজাইনের ঝুমকোও বেশ জনপ্রিয়।

ব্যাগ ও জুতা: অনেক সময় কনের পোশাক-গয়না কেনায় বেশি সময় চলে যায়। ব্যাগ-জুতা কেনা হয় একদম শেষ মুহূর্তে। আর এজন্য যত বিপত্তি বাধে। ব্যাগ ও জুতার ম্যাচিং অনেক সময় হয় না। তবে এই ভুল একদমই করা উচিত না। তাই তার জুতা-ব্যাগও হওয়া চাই আকর্ষণীয় ও অভিজাত।

রতনচূড়: এখন রতনচূড় পরার প্রথা কমে গেলেও এ বিশেষ গহনা কন্যার সাজে আলাদা মাত্রা যোগ করে। হাতে একটি বালার মত অংশ থাকে তার সঙ্গে চেন দিয়ে যোগ করা থাকে রিং। বিশেষ স্টাইলের এই রতনচূড় সবার সাজেই মানায়।

বিয়ের শাড়ি: বিয়ের অনুষ্ঠানে পছন্দের তালিকায় লাল রঙই প্রথম থাকে। কন্যার জন্য থাকবে লাল বেনারসি এ প্রত্যাশা কম বেশি সবাই করে। তবে লাল পরতে যদি কারও আপত্তি থাকে তাহলে লাল ঘেঁষা অন্য যেকোনো রঙ পরা যেতে পারে। যেমন ধরুন মেরুন, গলাপি। এছাড়া, উজ্জ্বল রঙের যেকোন শাড়ি গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কিনতে পারেন। এখন বেনারসি শাড়ি ছাড়া পলি সিল্ক, জর্জেট, কিংবা শিফনের ওপর কাজ করা শাড়িও বিয়ের উপযুক্ত।

বিয়ের কার্ড: বিয়ে জীবনের একটা অন্যতম স্পেশাল ঘটনা। তাই নিমন্ত্রণপত্রও স্পেশাল হওয়া চাই। তাক লাগিয়ে দেবার মত বিয়ের কার্ডে অনেক নতুনত্ব এসেছে। ডায়েরির আকারে কিংবা বক্সের আকারে কার্ড দিতে পারেন। প্রায়ই লাল ও সোনালি রঙের কার্ড দেখা যায়, আপনি বরং ঘন নীল ও রুপালী রঙের কার্ড তৈরি করে নিন। নিমন্ত্রণপত্রের ওপর আকর্ষণীয় হাতের লেখায় প্রিয়জনের নাম লিখে নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন।

ফটোগ্রাফি: বিয়ের দিনটা হয় অন্যরকম। তাই এই দিনের সেরা মুহূর্তগুলো ফ্রেমে বন্দি থাকা চাই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটার পর একটা সেশনে কেমন হবে আপনার লুক। বিবাহ পরবর্তী সময়ে দেখার জন্য অবশ্যই সারাদিনের জন্য প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার বুক করুন। ফটোগ্রাফারের জন্য একটু সময় আলাদা করে বাঁচিয়ে রাখুন। শুধু ছবি তোলাই শেষ নয়, এ্যালবামও যেন হয় কেতাদুরস্ত। অবশ্য এখন ফটোগ্রাফাররাই এ্যালবাম বানিয়ে দেয়।

হানিমুন: বিয়ের আগেই হানিমুনের জন্য প্রস্তুতি নিন। নিরিবিলি জায়গা সিলেক্ট করুন। যাতে ঝামেলাহীন উপায়ে সারাজীবনের সুখস্মৃতি তৈরি করতে পারেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.