199565

গবেষণায় ব্যস্ত, নিজের বিয়েই ভুলে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানী!

অনলাইন সংস্করণঃ- বিজ্ঞানীদের পাগলামি তো আমরা কমবেশি সবাই কিছু না কিছু শুনেছি। তারা গবেষণায় এতই মগ্ন থাকেন যে নিজেদের ব্যক্তি জীবনের কথাও ভুলে যান। তেমনই এক বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। যিনি জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগের টিকা আবিষ্কার করে বাঁচিয়েছিলেন অনেক মানুষের জীবন।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে পাস্তুরের প্রিয় বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক পদে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর ছিলেন লরেস্ট। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে হত তাকে। যাতায়াতের মাঝেই শুরু হয় রেক্টরের ছোট মেয়ে মেরির সঙ্গে প্রেম পর্ব। রেক্টরের কাছে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পাস্তুর। লরেস্টও সম্মতি দিতে দেরি করেননি।

কিন্তু প্রেমে পড়ে যাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন, গবেষণায় মগ্ন হয়ে তার কথাই লুই পাস্তুর ভুলে গিয়েছিলেন বেমালুম। লুই পাস্তুরের যেদিন বিয়ে হওয়ার কথা সেদিন সকাল থেকে তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এদিকে ‘লগ্ন’ বয়ে যায় যায়। বিয়েরস্থলে আত্মীয় পরিজন, বর ও কণে পক্ষের সবাই উপস্থিত। কিন্তু পাত্রের দেখা নেই। সকলেই উদ্বিগ্ন। পাত্রী মেরীর চোখেমুখে ভয়ের ছাপ।

শেষে বিজ্ঞানীর বন্ধুরা তাকে খুঁজতে বেরোন। বহু খুঁজেও যখন পাওয়া যায় না, তখন এক বন্ধু চলে যান ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরিতে। সেখান গিয়ে তিনি দেখলেন, পাস্তুর তখন সেখানেই গবেষণায় ব্যস্ত। মাথায় একেবারেই নেই যে সেই দিনেই তাঁর বিয়ে। বন্ধুর ডাকে শেষ পর্যন্ত সব মনে পড়ে। তাড়াতাড়ি কোট গায়ে জড়িয়েই দৌড়।

নিজের বিয়ের তারিখ ভুলে যাওয়া এই মানুষটির হাত ধরেই এসেছে ভয়াবহ জলাতঙ্কের টিকা। আর এই বিবাহই ‘ভুলো’ পাস্তুরের জীবনকে আনন্দের করে তুলেছিল। মেরিই ছিলেন পাস্তুরের যোগ্য সহচরী। স্বামীর সর্বকাজে আজীবন তিনি সাহায্য করে গিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.