199011

বিশ্বের প্রবীণ নারী

অনলাইন সংস্করণ:- বিশ্বের প্রবীণতম ফরাসি নারী জ় কেলম। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ

যার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’দশক। এতদিন পর তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মৃত্যুর সময় মোটেই ১২২ বছর বয়স ছিল না তার। এমনকি তার পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এক রুশ গবেষক।

মস্কো সেন্টার ফর কন্টিনিউয়াস ম্যাথামেটিক্যাল এডুকেশনে কর্মরত নিকোলে জ়্যাক। রিসার্চগেট নামের একটি অনলাইন পোর্টালেপ্রকাশিত নিজের রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি।

তার মতে, যে মহিলাকে জ় হিসাবে দুনিয়া চেনে, তিনি আসলে ইয়ভোনে কেলম় জ়র কন্যা। আয়করের বোঝা এবং পাওনাদারদের তাগাদায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।

পালানোর পথ খুঁজছিলেন। সেই সময় ১৯৩৪ সালে মায়ের মৃত্যু হয়। প্রায় একই রকম দেখতে হওয়ায়, মায়ের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে নেন তিনি। আর মৃত জ-কে ইয়ভোনে বলে ঘোষণা করে দেন।

প্রমাণস্বরূপ বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন নিকোলে জ়্যাক। যাতে দাবি করেছেন, পুরনো ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যাবে, মা ও মেয়েকে প্রায় একইরকম দেখতে ছিল। কিন্তু চোখের মণির রঙ ছিল আলাদা, যা তাদের পাসপোর্টের ছবি খুঁটিয়ে দেখলেই ধরা সম্ভব।

নিকোলে জ়্যাকের যুক্তি, বয়স বাড়লে মানুষ সাধারণত নুয়ে পড়। কিন্তু যখন নিজেকে ১০০ বছরের বলে দাবি করছিলেন জ় সেজে থাকা ইয়ভোনে, সেইসময় তার উচ্চতা কমেছিল মাত্র আধ ইঞ্চি।

মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৪ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইয়ভোনের মৃত্যু হয়। সেই সময় তার স্বামী জোসেফ চার্লস ফ্রেডরিক বিলোতের বয়স ছিল ৪২ বছর। তাদের এক পুত্রসন্তানও ছিল। জীবনে আর বিয়ে করেননি জোসেফ। বরং পরবর্তী কালে শাশুড়ি জ়য়ের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

সেই তথ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নিকোলে জ়্যাক। তার দাবি, পরিকল্পনায় সামিল ছিলেন জোসেফও। আসলে শাশুড়ি সেজে থাকা স্ত্রী-র সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন তিনি।দু’জনে মিলে ছেলেকে বড় করেন।

নিকোলে জ়্যাকের রিপোর্টটি এখনও সবিস্তার পর্যালোচনা করে দেখা হয়নি যদিও। তবে তার দাবি খারিজ করেছেন জ় কেলমর আত্মজীবনীর লেখিকা জ় মেরি রবিন।

তার মতে, সব অভিযোগ ভুয়ো। আগেও এই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তখনও শেষমেষ কিছু উঠে আসেনি, এ বারও কিছুই প্রমাণ করা যাবে না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.