স্যানিটারি প্যাড তরুণ প্রজন্মের ভয়াবহ নেশা!
আমাদের দেশে প্রায় ৪৩ শতাংশ মহিলা এখনো পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন বা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। এর মধ্যে গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ৫১.৫ শতাংশ এবং শহরের প্রায় ৩২.৫ শতাংশ মহিলা পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন না। পিরিয়ডের সময় মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য কর্মীরা একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারের দৌলতে যারা এখনো স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেননি, তারাও এর প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। কিন্তু জানেন কি এখন মারাত্মক নেশার উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন!
https://www.youtube.com/watch?v=FdwCa8_dxr0
স্যানিটারি ন্যাপকিন বা শিশুদের ডায়পার এই দুইটা জিনিস আমরা যতই নোংরা কাজে ব্যবহার করি না কেনো অবিশ্বাস্য হলেও ইন্দোনেশিয়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের নেশা! সে দেশের ন্যাশনাল নারকোটিক্স এজেন্সি সূত্রে খবর, মূলত ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের মধ্যেই এই নেশার প্রতি ঝোঁক বেশি।
কিন্তু কীভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে নেশা করছে এই তরুণ-তরুণীরা? ইন্দোনেশিয়ার ‘ন্যাশনাল নারকোটিক্স এজেন্সি’র এক আধিকারিকের দাবি, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা শিশুদের ডায়পার পানিতে সেদ্ধ করে ওই পানি খেলে অসম্ভব নেশা হয়! আর এই পদ্ধতিতেই নেশায় মেতেছে সে দেশের তরুণ প্রজন্ম।
‘ন্যাশনাল নারকোটিক্স এজেন্সি’র মতে, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা শিশুদের ডায়পার নিষিদ্ধ ড্রাগের তালিকায় নেই। ফলে এই নেশা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ-প্রশাসনকে।
সূত্র: Timesnownews