196898

থাপ্পড় মারা সেই নারীকে দল থেকে বহিষ্কার

ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালককে থাপ্পড় মারা এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সেই নারীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর (রূপনগর থানার আংশিক ও মিরপুর থানার আংশিক) ওয়ার্ড।

বহিষ্কারাদেশে লেখা হয়েছে, ‘গত কিছুদিন যাবৎ দলীয় কর্মকাণ্ডে আপনার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দলের সুনাম বিনষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে আপনাকে বারবার সতর্ক করার পরও আপনার আচরণ সংশোধন হয়নি বরং আপনার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে আপনাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, রিকশাচালককে মারধর করার অপরাধে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক সুইটি আক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুইটি মুরব্বিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, এটি দেখার পর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিক সভায় বসে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সড়কে জনসম্মুখেই রিকশাচালককে সুইটি আক্তারের থাপ্পড় মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রিকশাচালক বলছেন, ‘ভাড়া লাগবো না, আপনে হাঁইটা যান।’ উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘তোর ভাড়ার গুষ্টি কিলাই। তোরে যাইতে বলছি, তুই যাবি।’ এটা বলেই ওই নারী রিকশাচালকের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে সজরো থাপ্পড় মারেন। এ সময় পাশে উপস্থিত বয়স্ক এক ব্যক্তি ব্যক্তি ওই নারীর আচরণের প্রতিবাদ করেন। এ সময় তার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন ওই নারী। এমনকি তাকেও মারতে উদ্ধত হন।

https://www.youtube.com/watch?v=L5FYL648gCo

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনা হয় ওই নারীকে নিয়ে। প্রশ্ন উঠে কে তিনি? মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি ফেসবুকে নিজের ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।

সেখানে তিনি লিখেন – ‘আমি সুইটি আক্তার মিনু সাধারণ সম্পাদিকা আওয়ামীলীগ ৭নং ওয়ার্ড রুপনগর ঢাক আবাসিক এলাকা। আজকে সকালে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে যে বা যারা আমার এবং আমার প্রিয় দল আওয়ামীলীগ কে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা করবো।’

কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে তিনি আরো একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্লিজ আমাকে সবাই মাপ করে দেন। সবার কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করতেছি। প্লিজ।’

আরেকটি পোস্টে তিনি দাবি করেন, কোন কুচক্রী মহল পরিকল্পনা করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এরপর তিনি ওই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে আরো কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। যেগুলোতে রিকশাচালককে মারধরের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাবি করে এর জন্য সবার কাছে ক্ষমা চান তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.