196824

মূত্রের রং ও প্রকৃতির দিকে খেয়াল রাখুন

শরীরের অসুখ বাসা বাঁধলে তাকে নির্মবল করার সহজতম উপায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। কিন্তু অনেক সময় করার সবচেয়ে সহজ উপায় তার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বিশে ষ করে খঠিন অসুখগুলোর ক্ষেত্রে চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে, ততই রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে।

অথচ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুলেই অসুখের মাত্রা বেড়ে যায়। রোজ কিছু বিষয় খতিয়ে নজর করলেই কিন্তু প্রথম অবস্থাতেই সতর্ক হওয়া যায় বেশ কিছু অসুখের। যেমন, মূত্রের রং বা প্রকৃতির প্রতি খেয়াল রাখলে কিডনির নানা সমস্যা, ডায়াবিটিস এ সব অসুখের শুরুতেই সতর্ক হওয়া যায়।

এই প্রসঙ্গে নেফ্রলজিস্ট অভিজিৎ তরফদার জানালেন এমন বেশ কিছু সতর্কতার কথাই। দেখে নিন সে সব।

https://www.youtube.com/watch?v=S9aLpTXA_FE

বার বার প্রস্রাব পাওয়াকে অনেকেই ডায়াবিটিসের লক্ষণ বলে জানেন। অনেকেরই রাতে ঘুম ভেঙে যায় প্রস্রাবের কারণে। তবে কেবল ডায়াবিটিসই নয়, কিডনির যে কোনও সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে এটি। তাই এমনটা হলেই তাকে শুধুই ডায়াবিটিসের লক্ষণ ভেবে বসবেন না। বরং প্রথমেই যে কোনও কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাবের রংয়ের উপর নির্ভর করে অনেক রোগের উপসর্গ। লিকার চায়ের মতো গাঢ় বাদামি রঙের প্রস্রাব হলে তা-ও রেনাল ফেলিওরের প্রাথমিক লক্ষণ হতেই পারে। তাই সচেতন হোন।
প্রস্রাব হলুদ হলে আমরা ধরেই নিই শরীরে জলের অভাব ঘটেছে। তা ঠিকই অনেক সময়। নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত জল খান সারা দিন জুড়েই। কিন্তু তাতেও সমস্যা না মিটলে কয়েক দিন অপেক্ষা করুন। দিন দুই টানা এমনই ঘটতে থাকলে আর সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের শরণ নিন। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমনটা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: উড়ানের সময় বিমানচালকদের জন্য অন্য খাবার বরাদ্দ হয়! কেন জানেন?

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরলে একেবারেই দেরি করবেন না। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমন রক্তপাত হয়। কাজেই সাবধান থাকুন প্রথম থেকেই।
প্রস্রাবে অস্বচ্ছ? বিয়ারের মতো ফেনা ভাসছে উপরে? শরীরের প্রয়োজন বুঝে জল খান। তাতেও এই সমস্যা না মিটলে বুঝবেন কিডনির কোনও সমস্যার উপসর্গ এটি। কাজেই সতর্ক থাকুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.