196705

ভয়ঙ্কর দিন আসছেই ? এ বছর আরও বেড়েছে বাতাসের বিষ

গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও বেড়েছে বাতাসের বিষ। বেড়েছে বিশ্বে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ। অন্তত ২ শতাংশ। মূলত, জীবাশ্ম জ্বালানি (ফসিল ফুয়েল)-র দৌলতে। এই পরিস্থিতিতে কয়লা, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চিন ও ভারতের নির্ভরতাও উদ্বেগজনক।

২০১৪ থেকে ২০১৬, এই তিন বছরে তার পরিমাণ একটুও না বাড়ার পর ২০১৭-য় বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ বেড়েছিল ১.৬ শতাংশ। এ বছরে সেই ‘রথ’ তো থামানো যায়ইনি, বরং তার গতি আরও বেড়ে গিয়েছে। বেড়ে চলেছে।

পোল্যান্ডের কয়লাখনি প্রধান এলাকা কাতোয়াইসিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদ্য সমাপ্ত জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত রিপোর্ট এ কথা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা হিসাব, তাতে ২০১৮-র ৩১ ডিসেম্বর বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৩৭.১ গিগাটনে। যা আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি।

উষ্ণায়নের জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে আরও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে না যায়, সে জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য ১৯০টি দেশকেই ফিবছরে তার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমাতে বলা হয়েছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে, ২০১৫-য়। তার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব হয়নি বলেই টাইফুন, টর্নেডো, হারিকেন, ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ ও একের পর এক দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা বিশ্বে বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলবায়ু দ্রুত বদলে যাওয়ার আর্থিক খেসারত গত বছর অনেকটাই দিতে হয়েছে গোটা বিশ্বকে। গত বছর তার ফলে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর গত দু’দশকে ওই সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য বিশ্বকে গুণাগার দিতে হয়েছে ২২ হাজার কোটি ডলার।\

বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের এই উদ্বেগজনক বাড়-বৃদ্ধি রোখা না গেলে তা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশকেই একটি ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেবে বলে ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.