195302

পরকীয়ার টানে ঘর ছাড়া, তারপর…

পরকীয়ার টানে প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে প্রেমিক জাহিদুর রহমান মৃধার সাথে সংসার বেঁধেছিলেন এক সন্তানের জননী নাদিয়া বেগম (২০)। পরকীয়া প্রেমিকের সাথে বছর খানেক সংসার করে অবশেষে দ্বিতীয় স্বামী জাহিদুরের নির্যাতনে সোমবার রাতে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হয়েছেন নাদিয়া।

ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লায়। জাহিদুর রহমান মৃধা ওই মহল্লার বাসিন্দা মৃত সেলিম মৃধার পুত্র। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা হাসপাতাল থেকে নিহত নাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধু নাদিয়া পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের কবির আকনের কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী।

নিহতের মা আলেয়া বেগম জানান, তার মাদক সেবী মেয়ে জামাতা জাহিদুর রহমান মৃধা মাদক সেবন করে প্রায়ই তার কন্যা নাদিয়াকে মারধর করত। সোমবার রাতেও নাদিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে নাদিয়ার লাশ হাসপাতালে রেখে আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দেয়া হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সামাজিকভাবে নাদিয়া বেগমের প্রথম বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলায়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাদিয়ার সাথে পরিচয় হয় জাহিদুর রহমান মৃধার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাধে বছরখানেক আগে এক পুত্র সন্তানের জননী নাদিয়া তার প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে জাহিদুর রহমানের সাথে ঘর বাঁধেন।

গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ ইকবাল কবির বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট না পাওয়ার পর্যন্ত মৃত্যুর মুলকারণ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। dailynayadiganta

পাঠকের মতামত

Comments are closed.