194978

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার পরিষদের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের এক সদস্যকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী সদস্য এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম মো. সানাউল্লাহ। বিএনপির সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও পরবর্তীতে তিনি যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড়মানিকচক গ্রামে তার বাড়ি।

ডিসি অফিসে দাখিল করা অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনার নামে চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ ওই নারী সদস্যকে তার বাসায় ডাকেন। তাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি তার স্বামীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাসায় যান। তখন গোপন আলোচনা আছে জানিয়ে চেয়ারম্যান শুধু ওই নারীকে তার ঘরে নিয়ে যান। আর বাইরের বারান্দায় বসে থাকেন তার স্বামী।

বিভিন্ন আলোচনা শেষে ওই নারী চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন বাড়ির দরজা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দিতে আসেন চেয়ারম্যান। এ সময় দরজার সামনে চেয়ারম্যান তার মুখ চেপে ধরে পাশের গোয়াল ঘরের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই নারী সদস্য তখন চিৎকার দিলে বারান্দায় বসে থাকা তার স্বামী সাড়া দেন। তাই তাকে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী সদস্য বলেন, চেয়ারম্যান সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাসুর। তার কাছে শ্লীলতাহানির শিকার হওয়া দুঃখজনক। তাই এই ঘটনাটি প্রথমে আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হয়। তাদের কাছে বিচার চাই। স্থানীয় ক্লাবেও অভিযোগ করে বিচার চেয়েছি। কিন্তু সবাই বলে, ‘তোমরা চেয়ারম্যান-মেম্বার, তোমাদের বিচার কী করবো!’ কেউ বিচার করেনি। বাধ্য হয়ে ডিসি অফিসে অভিযোগ করি।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের বলেন, গত বুধবার তার কাছে অভিযোগটি করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই নিয়েছেন। তাই ঘটনাটি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও শিমুল আক্তার ঢাকাটাইমসকে জানান, তিনি তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.