কাতারকে পরমাণু দূষণের বিপাকে ফেলার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। সাবেক ব্রিটিশ শাসনাধীন এ দেশটির সীমান্তে নতুন সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু বর্জ্য খাল খননের নীলনকশা আঁকছে রিয়াদ।
কাতারের দক্ষিণাঞ্চলীয় সৌদি সীমান্তে নতুন শিল্প, অর্থনৈতিক ও পরমাণু কারখানা এবং খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি আরবের। এ খাল দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালবাহী কনটেইনার ও জাহাজ চলাচলে অনুমোদন দেবে দেশটি।
রিয়াদের নতুন এ প্রকল্পে শঙ্কায় রয়েছে কাতার। এতে দেশটির তেল ও গ্যাসের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস রিজার্ভ সংকটে পড়বে এবং কাতার কার্যত একটি দ্বীপরাষ্ট্রে পরিণত হবে। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
গত বছরের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব ও তাদের মিত্রদের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি অবরোধ আরোপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
সোমবার কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি জানায়, খাল খননের এ প্রকল্প কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধকে আরও জোরালো করবে। পাশাপাশি দোহা থেকে সব ধরনের বাণিজ্য ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করছে রিয়াদ।
সৌদি সংবাদমাধ্যম সাবাক নিউজ জানায়, প্রকল্পের প্রাথমিক খরচ হবে ৭৫ কোটি ডলার। রিয়াদের খাল খননের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মাত্র ১২ মাস সময় লাগবে। এ প্রকল্প কাতারকে দ্বীপরাষ্ট্রে পরিণত করবে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
রিয়াদ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুসারে, নতুন খালটির দৈর্ঘ্য ৩৭ মাইল, প্রস্থ ২১০ গজ ও গভীরতা হবে ১৫ থেকে ২০ মিটার। এ খালে জাহাজ চলাচলেরও অনুমোদন থাকবে।
পত্রিকাটি আরও জানায়, সালওয়া চ্যানেল থেকে কাতারকে বিভক্তকারী সীমান্তের ১ কিলোমিটার দূরে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে সৌদি আরব।
সীমান্তে একটি পরমাণু কারখানা নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। কাতার সীমান্ত বরাবর নির্মিত খালে ওই কারখানার বর্জ্য ফেলা হবে। এতে দূষণের ঝুঁকিতে পড়বে কাতার।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, কাতারের ওপর তিলে তিলে প্রতিশোধ নিতে এ পরিকল্পনা আঁটছে রিয়াদ। এতে কার্যত কাতারকে নিঃসঙ্গ করে রাখার পরিকল্পনা সফল হবে দেশটির।