কথায় বলে, দুর্ঘটনা কখনও কাউকে জানিয়ে আসে না। আবার একথাও চলিত আছে যে, একমাত্র উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে মানুষ জয়ী হয়। তাই পরিস্থিতির চাপে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটা খুবই জরুরি। সেই চরম আত্মনিয়ন্ত্রণেরই নজির রাখলেন স্টান্ট পাইলট চ্যাড বারবার।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই বিমান চালকের একটি ভিডিও। ‘পিটস স্পেশাল’ অ্যারোব্যাটিক বিমানে স্টান্ট প্রাকটিস করছিলেন ফ্লোরিডার বাসিন্দা বারবার। উড়ন্ত অবস্থায় ঘড়ির কাঁটার দিক অনুযায়ী বিমানটি নিয়ে চারবার পাক দেন তিনি। ভিডিওতে উলম্ব অবস্থায়ও ক্ষণিকের জন্য দাঁড়াতে দেখা গেছে বিমনটিকে। তবে তারপরেই ঘটল বিপদ।
জানা গেছে, বিমানের তেলের ট্যাঙ্কে ৭ গ্যালন তেল মজুত ছিল। কিন্তু বিমানের ফুয়েল ফ্লপ টিউবটি ওই ট্যাঙ্ক থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল শোষণ করতে পারছিল না। তাই মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় বিমানের ইঞ্জিন।
প্রায় ৪৫ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ ছিল ইঞ্জিনটি। বিমানটি তীব্র বেগে আকাশ থেকে ২৪০০ ফিট নিচে নেমে আসে। কিন্তু তখনও আশা ছাড়েননি বারবার। বিমান চালু করার প্রাণপণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তার পরের ঘটনা সত্যিই অভাবনীয়।
তুমুল বেগে ভূপৃষ্ঠের দিকে ধেয়ে আসা বিমানটি আপনা আপনিই চালু হয়ে যায়। তাই এই যাত্রার মতো প্রাণ হারাতে হয়নি বারবারকে।
ভিডিওটি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেছিলেন বারবার। পোস্টে লিখেছিলেন যে, বিমানের ফুয়েল ফ্লপ টিউবটি বদলানো হয়েছে। পর্যাপ্ত তেলের অভাবেই দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। তাই এখন থেকে ১০ গ্যালন তেল ছাড়া কোনও স্টান্ট করবেন না তিনি। তবে ঘটনাটি কোন দেশের তা জানা যায়নি। আপাতত সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।-এবেলা