193371

‘কো আর্টিস্ট হিসেবেও সে অসাধারণ’

 

ডেস্ক রিপোর্ট: তাহসান রহমান খান। চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা। ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে প্রথম গানে সফলতা অর্জন করেন তিনি। এরপর ব্যান্ড ছেড়ে গড়ে তোলেন একক ক্যারিয়ার। সেখানেও সফল তিনি। ভিন্নধর্মী কথা, সুর ও গায়কীর কারণে নিজের একটি শ্রোতামহল তৈরি করতে সক্ষম হন তাহসান।
ধারাবাহিকভাবে একক কন্ঠে উপহার দেন শ্রোতাপ্রিয় বেশ কিছু গান। গানের পাশাপাশি অভিনয়েও সফল এ তারকা। তবে বিশেষ উৎসবগুলোতেই কেবল নাটক কিংবা টেলিছবিতে অভিনয় করেন তিনি। আর সেগুলো থাকে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে। বর্তমানে গান ও অভিনয় নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছেন তাহসান। সম্প্রতি তার অভিষেক হয়েছে সিনেমায়ও। সব মিলিয়ে বর্তমান দিনকাল কেমন কাটছে? উত্তরে তাহসান বলেন, বেশ ভালো। কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। অভিনয় ও গান দুটেই চলছে। তবে খুব বেছে বেছে। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করছেন। সেখানে আপনার নায়িকা ওপার বাংলার শ্রাবন্তী। এরই মধ্যে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। অভিজ্ঞতা কেমন? তাহসান বলেন, প্রথমেই বলে নেই সিনেমার প্রস্তাব আমার অনেক দিন থেকেই ছিলো। কিন্তু গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় সেগুলোর কাজ ফিরিয়ে দেই। মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘যদি একদিন’ ছবিটির গল্প আমার খুব ভালো লাগে। আর আমার চরিত্রটিও চমৎকার। এরই মধ্যে এর কাজ শুরু হয়েছে। আমি ও শ্রাবন্তী কাজ করছি একসঙ্গে। সে অত্যন্ত ভালো একজন অভিনেত্রী সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কো আর্টিস্ট হিসেবেও সে অসাধারণ। সব মিলিয়ে ছবিটির এখন পর্যন্ত যতটুকু শুটিং হয়েছে আমি বেশ হ্যাপি। আশা করছি পুরো ছবির শুটিং খুব সুন্দরভাবে সমাপ্ত হবে। সিনেমায় কি নিয়মিত হবেন? তাহসান বলেন, নিয়মিত হবার ইচ্ছে নেই। তবে অনেক বেশি ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে হয়তো অভিনয় করতেও পারি। আমি নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করি। অভিনয় করি কেবলই শখে। সেক্ষেত্রে আমার পছন্দটাও গুরুত্ব পায়। পছন্দসই কোনো কাজ হলে অবশ্যই ভেবে দেখবো। বড় ও ছোট পর্দার মধ্যে কি রকম পার্থক্য দেখছেন? তাহসান বলেন, ছোট পর্দায়তো আমি খন্ড নাটকেই কেবল কাজ করি। ব্যাপ্তিটাও খুব বেশি নয়। বড় পর্দাতো অবশ্যই বড় একটি জায়গা। এখানে চ্যালেঞ্জ বেশি। আড়াই-তিন ঘন্টা দর্শককে ধরে রাখা অনেক বড় বিষয়। টোটাল টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে ভালো কোনো কাজ হলে সেটা সম্ভব। সুতরাং বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি ধৈর্য, পরিশ্রম, সময়টাও বেশি দিতে হয়। গত বছর আপনার ‘অভিমান আমার’ শীর্ষক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। পরবর্তী অ্যালবাম কবে নাগাদ আসবে? তাহসান বলেন, দেখুন একটি অ্যালবামে বেশ কিছু গান থাকে। আমি আমার এই অ্যালবামের গানগুলোকে আরও সময় দিতে চাই। এখনই আরেকটি অ্যালবাম আনতে চাই না। আমি নিজে স্টুডিওতে কাজ করছি নিয়মিত। গানের ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অ্যালবামের বিষয়টি এখনও মাথায় আনিনি। হয়তো সামনে হবে। চলতি সময়ে গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে আপনার কাছে? তাহসান বলেন, এখনতো বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। কোম্পানিগুলো ভালো বিনিয়োগ করছে। পাশাপাশি সেলফোন কোম্পানিগুলোও এগিয়ে আসছে। গান প্রকাশের ধরন বদলেছে। এখন সিডি নেই। ইউটিউব হয়ে উঠেছে গান প্রকাশের সবচেয়ে সহজ ও বড় মাধ্যম। এখন গান সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের কাছে। এটা একটা ইতিবাচক বিষয়। অন্যদিকে এখন পরিপূর্ণ অ্যালবাম হচ্ছে না। সবাই সিঙ্গেল করছে। আমি চাই সিঙ্গেলের পাশাপাশি অ্যালবাম প্রকাশের রীতিটাও থাকুক। কারণ একটি গানে নিজেকে মেলে ধরা সম্ভব না একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে। একটি অ্যালবামে ৮-১০টি গান থাকে। সেখানে আমি বিভিন্ন রকম গান করতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। কিন্তু সিঙ্গেলে সেটা সম্ভব না। সুতরাং পূর্ণ অ্যালবাম তৈরির ধারাটা থাকা দরকার বলে মনে হয় আমার।  সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.