193281

জুরাসিক পার্কের ২৫ বছর পুর্তিতে আসছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, দ্য ফলেন কিংডম

 

ডেস্ক রিপোর্ট: ছোট ছোট শিশুদের তাড়া করছে বিশালাকার ডায়নোসর, হাড় হিম করা সেই দৃশ্য প্রথমবার দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। উপার্জনের দিক থেকেও সব সিনেমাকে টেক্কা দিয়ে সেই সময় ‘জুরাসিক পার্ক’ ছিল এক নম্বরেই। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেল ২৫ টি বছর। চলতি বছরে ‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমার ২৫ বছর পুর্তি হতে চলেছে। আর এই ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ২২ জুন মুক্তি পেতে চলেছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, দ্য ফলেন কিংডম।

স্টিফেন স্পিলবার্গ পরিচালিত কল্পবিজ্ঞান নিয়ে চলচ্চিত্র জুরাসিক পার্ক। মাইকেল ক্রিকটনের একই নামের একটি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মীত এই চলচ্চিত্র ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। ক্লোন পদ্ধতিতে তৈরি করা ডাইনোসরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আইলা নুবলার দ্বীপে একটি বিনোদন পার্ক গড়ে তোলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পূর্বে জন হ্যামন্ড (রিচার্ড অ্যাটেনবারো) কয়েকজন বিজ্ঞানীকে পার্ক পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তারা দ্বীপে এসে ডায়নোসর দেখে বিস্মিত হন। কিন্তু কিছু কারণে ডায়নোসররা খাঁচা ভেদ করে বাইরে চলে আসে। বিজ্ঞানী ও কলাকুশলীরা ডায়নোসরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্বীপ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ নিয়েই জুরাসিক পার্কের কাহিনী গড়ে উঠেছিল।

কম্পিউটারের মাধ্যমে কৃত্রিম চিত্র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জুরাসিক পার্ক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। ছবির অ্যানিমেশন ও এফেক্ট সব সমালোচকের কাছেই প্রশংসিত হয়। মুক্তি পাওয়ার পর আজ পর্যন্ত ছবিটি প্রায় ১০০০ মিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার আয় করেছে যা ছিল এই সেদিন পর্যন্ত সর্বকালের সবচেয়ে বেশী উপার্জনকারী ছবি। ২৫ বছর পরেও আয়ের দিক দিয়ে এর স্থান ২৬ তম। জুরাসিক পার্ক, চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারণার জন্ম দেয়। ১৯৯৭ সালে দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড নামে জুরাসিক পার্কের দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পায়। ২০০১ সালে মুক্তি পায় জুরাসিক পার্ক ৩।

১৪ বছর পর ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল জুরাসিক পার্ক সিরিজের নতুন সংস্করণ জুরাসিক ওয়ার্ল্ড। ৩ বছর পরেও জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ব্যবসার দিক দিয়ে এখনো বিশ্বে ৪ নম্বরে। সেবার গোটা বিশ্বে ছবিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়ায় জুরাসিক ফিল্মের ২৫ বছরে এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় সিক্যুয়েল জুরাসিক ওয়ার্ল্ড – দ্য ফলেন কিংডম।

জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের প্রথম ছবিটির কাহিনী যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছে এর দ্বিতীয় সিক্যুয়েল, দ্য ফলেন কিংডমের কাহিনী। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ওয়েন গ্র্যান্ডি এবং ক্লেয়ার ডিয়ারিং ফিরে যায় জুরাসিক পার্ক হিসেবে পরিচিত আইলা নুবলা দ্বীপে। এর আগের ছবিটিতে পার্কটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও, এখনো সেখানে রয়ে গেছে প্রাগৈতাহাসিক যুগের কিছু প্রাণী। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত তাদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি। তাই তাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পৌঁছান ওয়েন এবং ক্লেয়ার। আর এমনি রোমহর্ষক কাহিনী নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড- দ্য ফলেন কিংডম।

জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের এবারের ছবিটির পরিচালনায় পরিবর্তন এলেও বরাবরের মতোই ছবিটির কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের এবারের ছবিটি পরিচালনা করেছেন জে এ বায়োনা। আগের ছবিটির মতো এবারও এর কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড এবং ক্রিস প্যাট।
এছাড়াও, ছবিটির অন্যান্য চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন জেফ গোল্ডবাম, বিডি ওং, টবি জোনস টেড লিভাইন সহ আরো অনেকে।

ইউনিভার্সাল পিকর্চাসের প্রযোজনা এবং পরিবেশনায় গোটা বিশ্বে রূপালি পর্দার দর্শকদের জন্য জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, দ্য ফলেন কিংডম ফিল্মটি মুক্তি পাবে আগামী ২২শে জুন। ইউটিউবে বহু প্রতিক্ষিত এই ছবিটির প্রথম ট্রেলার বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই কোটি কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন।

এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা। তারপর আবার সেই প্রথম জুরাসিক পার্কের মতই হয়তো সুপার ডুপার হিট হতে চলেছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড- দ্য ফলেন কিংডম। ২৫ বছর পরেও হাজার হাজার বছর আগে লুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসরদের সিনেমা নিয়ে আগ্রহ আজও অবাক করে দেয় ফিল্ম সমালোচকদের। বাচ্চা থেকে বুড়ো, এখনো সবার পছন্দ সেই জুরাসিক ফিল্ম। আর এখানেই বাজিমাত, জুরাসিক ফিল্মের জনক স্টিফেন স্পিলবার্গের। সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.