192955

শাকিব এত খারাপ জানতাম না: অপু

 

ডেস্ক রিপোর্ট: সন্ত্মান কোলে অপু বিশ্বাসবিবাহ বিচ্ছেদ মেনে নিয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ২২ ফেব্রম্নয়ারি ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। এরপর অপু বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলন ডাকবেন। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেনের সঙ্গে তালাক নোটিশের বিপরীতে সমঝোতা বৈঠকে বসেন অপু। কিন্তু শাকিব খান কিংবা তার পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এরপর গতকাল ১২ ফেব্রম্নয়ারি পুনরায় সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। এতে শাকিব খান অংশ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা মনে করছেন। অন্যদিকে অপু বিশ্বাসও সেখানে যাননি। কারণ তিনিও এখন ডিভোর্সের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ডিভোর্সের বিষয়টি মেনে নিয়েছি। পরিবারের বিষয়গুলো জনসম্মুখে আনা ঠিক নয়। তারপরও শাকিব খান বিষয়টিকে জনসম্মুখে নিয়ে এসেছেন। তিনি একবারও চিন্ত্মা করেননি যে, তার একটি সন্ত্মান আছে। তার উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তিনি নিজেকে ইতিবাচক দেখানোর জন্য সব সময় জনসম্মুখে বিষয়গুলো নিয়ে আসছেন। আর আমি আমার বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে সব সময় চেয়েছি বিষয়গুলো বাইরের মানুষ কম জানুক।’
এর আগে আপনি শাকিবের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন, আপনার সন্ত্মানের ভরণ-পোষণের জন্য গত দুই মাস ধরে সে টাকা দিচ্ছে না। এর সমাধান পেতে আপনি আইনের সহায়তা নেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, ‘না, আমি আইনের সহায়তা নেব না। পারিবারিক ইসু্য নিয়ে আমি আর কোথাও যেতে চাই না। আমি দীর্ঘ আটটি বছর নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি। কিন্তু যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তখন আমি সন্ত্মানকে নিয়ে বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসেছি। আমি কেন সেদিন এসেছিলাম তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে। কারণ আমার সন্ত্মানের পরিচিতিটা দরকার ছিল। একজন মা হিসেবে পৃথিবীর সব নারী এটা চাইবেন। আমিও চেয়েছি। সুতরাং আমি কোনো ভুল করিনি।’
অপু বলেন, ‘শুনেছি শাকিব খান সন্ত্মানকে স্কুলে ভর্তি করাবেন। কিন্তু ডিভোর্স লেটার পাঠানোর পর থেকে তার তো খোঁজ নেই। আমি তাকে সব দিক থেকে মাফ করে দিয়েছি। আর একটা বিষয় বিয়ের সময় আমার কাবিন আইন অনুযায়ী শাকিব করেছেন কিনা আমি জানি না। কাবিনের কাগজে টাকার অঙ্কটা বড় ছিল। সেই কাগজ শাকিবের কাছে আছে। আমার কাছ থেকে কাগজটা ওরা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি মুসলমান ধর্মের বিয়ের রীতি পুরোপুরি জানতাম না। ফলে শাকিব যেভাবে বলেছে, আমি তাই করেছি। তবে আমি দেখেছি, কাবিনের কাগজে এক কোটি সাত লাখ টাকার দেনমোহরের কথা লেখা ছিল। কিন্তু এখন শাকিব খান বলছেন, সাত লাখ টাকার নাকি দেনমোহর করা হয়েছে। এক কোটি টাকা কোথায় হাওয়া হয়ে গেল আমি জানি না। যেহেতু আমার কাছে কাগজপত্র নেই, ফলে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খান আগেই আমাকে বলেছিল, আমাদের সন্ত্মান হলেই সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। তখন আমি বিষয়টিকে গুরম্নত্ব দেইনি। কথার কথা মনে করেছিলাম। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি বিষয়টা কতটা সত্যি। আমি জানতাম, শাকিব খানের চরিত্র খারাপ কিন্তু এত খারাপ জানতাম না। যেসব মেয়ের সাথে তার ওঠা-বসা; আমি ভেবেছিলাম সন্ত্মান হলে সে এই পথ থেকে সরে আসবে। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। বাবা হয়ে সন্ত্মানের স্বার্থেও সে ছাড় দিতে পারেনি। শাকিব খান যে কাজগুলো করেছেন দর্শক তাদের বিবেক দিয়ে নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করবেন। আমি তাকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, পরিবার ছেড়েছি, ক্যারিয়ার ছেড়েছি। বিনিময়ে পেয়েছি অবহেলা আর অসম্মান।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৯ বছর বিয়ের কথা গোপন করেন শাকিব-অপু। এরপর ২০১৬ সালে তাদের কোলজুড়ে আসে এক পুত্র সন্ত্মান। সন্ত্মান নিয়ে গত বছর এপ্রিলে বিয়ের কথা ফাঁস করে দেন অপু। এরপর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর মধ্যেই অপুকে ডিভোর্স লেটার পাঠান শাকিব। সুত্র যায়যায়দিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.