192303

ধর্ষিতা আদালতে কাঁদছিল যখন বাপ ক্ষমা করছিল প্রভাবশালী ধর্ষককে!

 ডেস্ক রিপোর্ট  : ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গুজ্জার খান শহরের একটি আদালতে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মুনির আহমেদ। পরে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামতও মিলেছে।

পুলিশ বলছে, জেলা সদরের হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ধর্ষণের প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্তের ডিএনএর কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

প্রাথমিক অবস্থায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় তদন্ত করছিলেন উপ-পরিদর্শক নাদিম খান। তিনি ডন নিউজকে বলেন, অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওই সময় তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্তকে আটকের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করেন নাদিম। একপর্যায়ে নাদিম বদলি হয়ে গেলে তার জায়গায় আসেন উপ-পরিদর্শক আরিফ।

এ ব্যাপারে আরিফ বলেন, তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময়ের মধ্যে ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে জামিনে মুক্ত থেকেছেন অভিযুক্ত।

কিন্তু শুনানির দিন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ভুল করে মামলাটি করে ফেলেছেন তিনি। সে কারণে অভিযুক্তের কাছে মাফ চান। এখন মামলাও তুলে নিতে চান তিনি।

আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বাবার এ ধরনের কথা শুনে আদালতে উপস্থিত ১৭ বছর বয়সী ওই তরুণী কেঁদে ফেলেন।

ডন নিউজের কাছে মুনির আহমেদ বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। তবে সেই কাগজে কী লেখা আছে তা তিনি জানেন না।

তিনি আরো জানান, দরিদ্র মানুষ তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অনেক প্রভাবশালী। তাদের স্বজনদের অধীনে তাকে কাজকর্ম করে দিন পার করতে হয়। সে কারণে তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সূত্র ডন নিউজ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.