191741

অনলাইন ডেটিংয়ে মানসিক যন্ত্রণায় বেশি ভোগেন মেয়েরা

ডেস্ক রিপোর্ট :বর্তমানে মানুষের জীবনে বাস্তবতার যতটা না স্থান, তার চেয়েও বেশি স্থান অনলাইনের। অনলাইনে মানুষ শুধু পড়াশোনা নয়, বিনোদন খুঁজছে, কাজকর্ম করছে, বন্ধুত্ব তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে ভালো হলেও অনলাইনে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা অনেকটাই নেতিবাচক। তার একটি হলো অনলাইন ডেটিং। কারও কারও জীবনে অনলাইন ডেটিং ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
অনলাইন ডেটিংয়ের কারণে মূলত নিয়ন্ত্রণ, হুমকি, চাপ প্রভৃতি সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তবে এর কারণে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি মানসিক যন্ত্রণার মুখোমুখি হন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা-বারবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট লরেন রেড বলেছেন, লিঙ্গগত কারণে ডিজিটাল ডেটিং সব তরুণের জন্য ক্ষতিকর। তবে এ মাধ্যমে মেয়েরা বেশি যৌন নিপীড়নের শিকার হন।
তিনি বলেছেন, এ মাধ্যম ব্যবহার করে অপরাধীরা তরুণীদের কাছে বিব্রতকর এবং নানা নেতিবাচক ছবি পাঠায়। তারা যৌন বা নগ্ন ছবি পাঠিয়ে তরুণীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এখানেই শেষ নয়, হুমকি বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি অপরাধীরা অনুমতি ছাড়াই তরুণীর গোপন তথ্য দেখে ফেলে। সেইসঙ্গে তরুণীদের সব কার্যক্রমও সর্বক্ষণ নিরীক্ষণ করে থাকে, জানান লরেন রেড।
এ প্রসঙ্গে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড টোলম্যান বলেন, অনলাইন ডেটিংয়ে ছেলেরা প্রায়ই মেয়েদের যৌন বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে, যা ডিজিটাল যৌন নিপীড়নে উচ্চ হারে অবদান রাখে। অন্যদিকে মেয়েরা তাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার আশা পোষণ করেন। এ কারণে তারা আরও আস্থাভাজন হয়ে উঠার চেষ্টা করেন। তবে তারাও ছেলেদের কার্যকলাপগুলি সবসময় নিরীক্ষণ করতে বেশি পছন্দ করেন।
জার্নাল অব অ্যাডবারসেন্সে প্রকাশিত ওই গবেষণাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুলের ৭০৩ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরে ডিজিটাল ডেটিংয়ে তাদের আচরণ পরীক্ষা করা হয়।
এতে দেখা গেছে, ডিজিটাল মনিটরিং এবং নিয়ন্ত্রণের হার ছেলে এবং মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই সমান। অর্থাৎ তারা সরাসরি একই হারে অনলাইন ডেটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। আর যখন তারা এ কাজে জড়িয়ে পড়েন তখন হুমকি এবং গুজব ছড়ানোর মতো ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। এর পরেই মেয়েদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। এ সময় তারা তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। পরে এক পর্যায়ে তারা সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।সুত্র :আমাদের সময়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.