191545

‘একটি সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মান-অভিমান থাকবেই’

 

ডেস্ক রিপোর্ট: গুণী অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই। অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সহধর্মিণী। ২০০৪ সালে ভালোবেসে এই দম্পতি বিয়ে করেন। দুজনের অভিনয়ের ব্যস্ততার মধ্যেও দারুণভাবে সংসার পরিচালনা করছেন। শোবিজে সুখী দম্পতি হিসেবে তাদের দুজনের বেশ সুনাম রয়েছে। দুজন মানুষের পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসায় একটি সংসার সুখের হয় বলে জানান জুঁই।
তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস ও ভালোবাসা না থাকলে সেই সংসার কখনো টিকে থাকে না। একটি সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মান-অভিমান থাকবেই। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে হবে। কিংবা সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে হবে। সত্যি বলতে কি আজকাল আমাদের মধ্য থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। ফলে অনেকেরই ভালোবাসার সম্পর্ক থাকছে না। সবার দোয়ায় আমরা দুজন অনেক সুখে আছি। আগামী দিনগুলো এভাবে দুজন কাটিয়ে দিতে চাই। স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি এই দম্পতি জুটি বেঁধেও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন। সেখানেও তারা দুজন সফল। একসঙ্গে অভিনয়ের সময় স্বামী মোশাররফ করিমকে কীভাবে দেখেন? জুঁই বলেন, অভিনয়ের সময় আমি তাকে একজন শিল্পী হিসেবেই দেখি। এছাড়া শুটিং স্পটে অভিনয়ের সময় চরিত্রটির মধ্যেই ডুবে থাকি। তখন চিন্তায় থাকে পরিচালক আমার কাছে কী চান এবং সেটি আমি সঠিকভাবে কতটুকু দিতে পারছি। তবে বিভিন্ন সময়ে অভিনয় সম্পর্কে নানা ধরনের টিপস দিয়ে সহযোগিতা করে মোশাররফ করিম। এখন আমিও বিভিন্নভাবে জানার ও শেখার চেষ্টা করছি। অভিনয়টাকে নিজের মধ্যে লালন করে চরিত্রানুযায়ী অভিনয় করে যাচ্ছি। কীভাবে এই অভিনেত্রীর অভিনয়ে আসা- সেই গল্পও জানালেন দর্শকপ্রিয় এ অভিনেত্রী। জুঁই বলেন, আমি অভিনয় করবো- এটা কখনো ভাবিনি। বিভিন্ন সময় মোশররফ করিমের সঙ্গে শুটিং দেখতে আসতাম। তারপর এর প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হয়। কয়েকটি নাটকে কাজ করার পর নির্মাতাদের আমার প্রতি বেশ আগ্রহ দেখি। একটা-দুইটা থেকে এখন নিয়মিত অভিনয় করছি। অনেকের অভিযোগ, মোশাররফ করিমকে ছাড়া জুঁই অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এই সর্ম্পকে জুঁইয়ের ভাষ্য বিপরীত। তিনি বলেন, অনেকে মোশাররফ করিমের শিডিউল সহজে পাওয়ার জন্য তার সঙ্গে আমাকে জুটি করে কাজ করতে চান। যারা হয়তো কোনো কারণে আমাকে পান না তারা এমনটা বলছেন। সত্যি বলতে কি আমি চরিত্রের প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। জুঁই ‘সিমিলারটু’ শীর্ষক একটি খ- নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল কবির বাবুর ‘জামাই মেলা’। দুটি নাটকই দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। এ অভিনেত্রী বর্তমানে রুলীন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়’, কায়সার আহমেদের ‘মহাগুরু’, অরণ্য আনোয়ারের ‘ফুলএইচডি’, শামীম জামানের ‘মওকা মালয়েশিয়া’ এবং সাগর জাহানের ‘ল্যাম্পপোস্ট’ ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জুঁই তার অভিনীত ধারাবাহিকগুলো সম্পর্কে বলেন, প্রতিটি ধারাবাহিকে আমি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করছি। ধারাবাহিকগুলোও দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে ‘ল্যাম্পপোস্ট’ ও ‘মহাগুরু’ ধারাবাহিকের গল্প ব্যতিক্রমধর্মী। এ সময়ের ধারাবাহিকগুলোর গল্প নিয়েও এ অভিনেত্রী কথা বলেন। ধারাবাহিকগুলোর গল্প ও চরিত্রে নতুনত্ব না থাকলে দর্শকদের ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের দর্শক পার্শ্ববর্তী দেশের চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রতি অনেক আগ্রহী। কারণ তাদের গল্প-চরিত্র নির্মাণশৈলীতে ভিন্নতা থাকে। অভিনয় শিল্পীদের সংলাপ বলাতেও বেশ চমক থাকে। আমাদের নির্মাতাদের সময়োপযোগী গল্প নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আমাদের দর্শক আমাদের নাটক দেখবে। ছোট পর্দার বাইরে চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন। এখন পর্যন্ত দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র দুটি হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’এবং তৌকীর আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’। মনের মতো গল্প ও চরিত্র পেলে নতুন চলচ্চিত্রে আবারো তাকে দেখা যাবে বলে জানান তিনি। সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.