191508

সব কিছু মনের মতো হলেই…

 

ডেস্ক রিপোর্ট: অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী। ক্যারিয়ারের শুরুতে কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রে সাবলীল অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এরপর একে একে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে নির্মাতাদের কাছেও আস্থাশীল শিল্পী হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু এরপর তাকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। তবে তিনি অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান। নতুন চলচ্চিত্রে দেখা না যাওয়ার কারণ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শশী বলেন, প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে আমি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি।
সেই ছবির কল্যাণে আজকে আমার শশী হয়ে ওঠা। আমার সঙ্গে যায় না এমন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করে অর্জিত সুনাম নষ্ট করতে চাই না। আমি ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রের পর কয়েকটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলোর কোনোটির গল্প, কোনোটির পরিচালক পছন্দ না হওয়ায় কাজ করা হয়নি। সব কিছু মনের মতো হলেই নতুন চলচ্চিত্রে কাজ করবো। এই অভিনেত্রী এখন ছোট পর্দার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন চ্যানেলে তার একাধিক ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। তার হাতে বর্তমানে শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের পণ্ডিতেরা’, কায়সার আহমেদের ‘আয়না’ ও ‘মহাগুরু’, দেবাশীষ বড়ুয়া দ্বীপের ‘ভালোবাসা প্রেম নয়’ এবং সালাহউদ্দিনের ‘মায়া মসনদ’ ধারাবাহিকগুলোর কাজ রয়েছে বলে জানান। ধারাবাহিকের বাইরে একক নাটকেও তাকে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি তিনি হিমেল আফির ‘জবের ব্যাপার’ ও শামিমের ‘ভুল’ শীর্ষক দুটি খণ্ড নাটকের কাজ শেষ করেছেন। একজন অভিনেত্রী হিসেবে শশীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সামাজিক সচেতনতায় নাটক কেমন ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন? শশী বলেন, বিনোদনের মাধ্যমে দর্শকদের সচেতন করা যায়। বিনোদনের মাধ্যমে সামাজিক কোনো একটি গল্প সঠিকভাবে উপস্থাপন করলে দর্শক সেটি স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করে বলে আমি মনে করি। আমি সম্প্রতি সাইবার ক্রাইমের গল্পের ওপর নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করেছি। গল্পে দেখা যাবে কিভাবে একটি মেয়ে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়। সেখান থেকে কিভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়। আমাদের নির্মাতারা চাইলে এমন সমসাময়িক নানা রকম গল্পের নাটক নির্মাণ করতে পারেন। শশী তার সমসাময়িক অভিনেতাদের বাইরে সিনিয়রদের সঙ্গেও পর্দা ভাগ করেন। গল্পের প্রয়োজনে তিনি সবার সঙ্গে কাজ করতে চান বলে জানান। তিনি আরো বলেন, সিনিয়রদের সঙ্গে কাজের সময় অনেক কিছু শেখা যায়। ভালো কাজের জন্য প্রেরণা পাওয়া যায়। সহ-শিল্পী এগিয়ে থাকলে অন্য শিল্পীকে দর্শক গ্রহণ করে না। আমি শেখার জন্য সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করি। এছাড়া গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে বিভিন্ন রূপে দেখতে ভালো লাগে। আমি একজন শিল্পী। শিল্পীর কাজ হলো বিভিন্ন চরিত্রে দর্শকদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করা। এই সময়ের নাটক-টেলিছবিতে শিল্পীদের চরিত্রে নতুনত্ব নেই। একই চরিত্রে বিভিন্ন শিল্পীকে বারবার দেখা যায় বলে অনেকে মন্তব্য করেন। এই সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? শশী বলেন, নির্মাতারাই একজন শিল্পীকে নতুন নতুন চরিত্রে উপস্থাপন করতে পারেন। আমি মনে করি সব শিল্পীই তার চরিত্রে নতুনত্ব খোঁজেন। কিন্তু সেটি অনেক সময় হয় না। সেই কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে একই ধরনের চরিত্রে বারবার কাজ করছেন। একটি গল্পে যখন নতুনত্ব আসে তখন সেই গল্পের চরিত্রেও নতুনত্ব থাকে। আমাদের নির্মাতাদের গল্প নির্বাচনে একটু পরিবর্তন প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি শশীর নির্মাণেও আগ্রহ রয়েছে বলে জানান। তবে তার জন্য আরো সময় নিতে চান তিনি। নির্মাণ কাজটি অনেক কঠিন বলে মনে হয় তার কাছে। নির্মাণ প্রসঙ্গে শশী বলেন, একজন পরিচালককে অভিনয় শিল্পী, প্রযোজক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঠিক রেখে কাজ করতে হয়। পরিচালকের ওপর নির্ভর করে কাজটির ভালো-মন্দ। আমি চাই আমার প্রথম নির্মাণটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.