‘বিয়ে নিয়ে কোনো লুকোচুরি করবো না’
ডেস্ক রিপোর্ট :দর্শকপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবিন। নিজের কাজ দিয়ে গেল বছরের মতো এই বছরেও দর্শকদের মনে দাগ কাটতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে ব্যতিক্রমি গল্প ও চরিত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দর্শকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন সেটির মূল্য দেবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এ পর্দাকন্যা। বর্তমানে তিনি ভালোবাসা দিবসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই মধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘আস্থা’ ও মাবরুর রশিদ বান্নার ‘বেকার ছেলে’ শিরোনামের দু’টি নাটকের কাজ শেষ করেছেন।
দু’টি নাটকেই মেহজাবিন জুটি বেঁধেছেন গত বছরের হিট নাটক ‘বড় ছেলে’-তে তার বিপরীতে অভিনয় করা জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে। নাটক দু’টি নিয়ে এই অভিনেত্রী দারুণ আশাবাদী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই নাটকের গল্প দু’রকম। মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’র কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। তারই নির্মাণে ‘আস্থা’ নাটকের গল্পটিও বেশ চমৎকার। আর ‘বেকার ছেলে’ নাটকটি নতুন বছরের ভালো নাটকগুলোর একটি হবে বলে আমি আশা করছি। এই নাটকে বেকারদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। এই নাটকের গল্পে দর্শক একটি সামাজিক ম্যাসেজ পাবে। ভালোবাসা দিবসের নাটকের পাশাপাশি এই অভিনেত্রী ঈদের নাটকের কাজও করছেন বলে জানান। এদিকে একক নাটক ও টেলিছবির বাইরে মেহজাবিন কোনো ধারাবাহিক নাটকে নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একক নাটক ও টেলিছবির কাজ করতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ধারাবাহিক নাটকের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেক সময় ধারাবাহিক নাটকে গল্পের সমন্বয় থাকে না। পর্বের প্রয়োজনে চরিত্র বড় করা হয়। এটি দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একক নাটক ও টেলিছবি প্রচারের পরই দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার ওপর পরবর্তী কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সহজ হয় বলে আমি মনে করি। ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন মেহজাবিন। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’। এ নাটকে মাহফুজ আহমেদের বিপরীতে তিনি অভিনয় করেন। এরপর তিনি ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, ‘কল সেন্টার’, ‘আজও ভালোবাসি মনে মনে’, ও ‘হাসো আন লিমিটেডসহ’ বেশকিছু দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দেন। ক্যারিয়ারের লম্বা একটি সময় পার করেছেন। এই সময়ে তার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের অভিনয় দেখে বড় হয়েছি। তাদের কেউ একজন যখন ফোন করে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সেটি অনেক বড় প্রাপ্তি মনে করি। গেল বছর আমার ‘বড় ছেলে’ নাটকটি প্রচারের পর সূবর্ণা আপা ফোন করেছেন। সেটি আমার জন্য তার আর্শিবাদ মনে করি। সেই আর্শিবাদ আমার কাজের জন্য প্রেরণা যোগায়। তবে আমি বলবো না এই নাটকটি আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এটি ছাড়াও আমার আরো বেশ কিছু ভালো নাটক রয়েছে। মেহজাবিনের সমসাময়িক অনেক অভিনেত্রী বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। কারো কারো প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। তার ভালোবাসার মানুষ কে জানতে চাইলে মেহজাবিন বলেন, এই সময়ে আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। কাজকেই আমি সব কিছুর আগে প্রাধ্যান্য দিয়ে থাকি। কাজের সঙ্গেই আমার প্রতিদিনের প্রেম-ভালোবাসা। তাহলে কি বিয়ে করবেন না? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য কোনো প্রকার চাপ নেই। যখন মনে হবে প্রয়োজন ঠিক তখনি বিয়ের পিঁড়িতে বসবো। বিয়ে নিয়ে কোনো লুকোচুরি করবো না। ক্যারিয়ারের এক যুগ পর মেহজাবিন নিজেকে কোথায় দেখতে চান? নিজের ক্যারিয়ারের এই বিষয়টি সম্পর্কে তার ভাষ্য, দর্শক আমাকে মনে রাখবে কাজের মধ্য দিয়ে। আমি একজন শিল্পী ও সু-অভিনেত্রী হিসেবে যুগ যুগ দর্শকদের মনে বেঁচে থাকতে চাই। সুত্র মানবজমিন