189788

ওয়াকারের দীক্ষায় প্রস্তুত রাজু

 

ডেস্ক রিপোর্ট: একদিকে হাড় কাঁপানো শীত অন্যদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতিতে দারুণ উত্তেজনা। এ শীত উপেক্ষা করেই টাইগার ক্রিকেটাররা কঠিন অনুশীলনে ঝরাচ্ছেন ঘাম। বিকাল তিনটায় অনুশীলনের কারণ কুয়াশা ও শীতের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। তবে দুপুর একটা থেকেই ক্রিকেটাররা আসতে শুরু করেন মাঠে। নিজেদের মতো করে শুরু করেন প্রস্তুতি। বিশেষ করে জাতীয় দলে দীর্ঘদিন পর ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের পরিশ্রম চোখে পড়ার মতো।
২০১৫ সালে পর ফের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন পেস অলরাউন্ডার আবুল হোসেন রাজু। এবার তার দিকেও থাকবে দৃষ্টি। তবে এ পর্যন্ত ৬ ওয়ানডে খেলে পাননি একটি উইকেটও। অনুশীলনের এক ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে এসে শোনালেন আশার কথা। বলেন, ‘বিপিএল আসলে এই জায়গায় আসার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। ওয়াকার ভাই ছিল আমাদের দলে। আমার অনেক আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে স্কিলগুলোর উন্নতি করতে পারব। রিভার্স সুইংটা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে। স্লো বল নিয়েও কাজ করেছি।’
রাজু ১০ উইকেট নিয়েছেন এবারের বিপিএলে। তবে উইকেট সংখ্যাই নয়, নজর কেড়েছেন মূলত কয়েক ধরনের কার্যকর স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়ে। রিভার্স সুইংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো বলে যথেষ্ট গতি থাকা, যেটি আবুল হাসানের খুব বেশি নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর মূল অস্ত্র হলো স্ট্রেংথ। ওয়াকার ভাই একটি কথাই বলেছিল আমাকে যে, স্রেফ মেইনটেইন করতে হবে নিজেকে। বোলিং করতে থাকা। কিছু তো আলাদা ব্যাপার আছেই, যেমন বল ধরার মধ্যে।’
এবার তার কাছে প্রত্যাশার চাপটাও থাকবে বেশ। এ নিয়ে রাজু বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমি আত্মবিশ্বাসী। আসলে আগে একটু ডিফারেন্ট ছিলাম। এখন অনেক কিছুই বদলেছে। দেখি, যদি চান্স পাই তাহলে নিজেকে প্রমাণ করব।’ আর ব্যাটিং নিয়ে রাজু বলেন, ‘বোলিং করার পর যতটুকু সময় পাই, রিহ্যাব করতে হয় বা ব্যাটিংয়ে সময় দিতে হয়। যতটুকু সময় পাই ব্যাটিংয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। উন্নতি হয়েছে। ধরেন এখন যে আমরা স্কিলগুলো করছি, আগে সেগুলো করতে পারলে আরও উন্নতি হতো আমাদের। এক্স্যাক্টলি সো এখন সবকিছু পারফেক্টলি হচ্ছে। এখানে ব্যাটিং হচ্ছে, ইনডোরে ব্যাটিং হচ্ছে। আই অ্যাম কনফিডেন্ট। ইনশাআল্লাহ দেখি কী হয়।’ সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.