189560

টেনশন থাকলেও ভালো কেটেছে বছরটা’

 

ডেক্স রিপোর্ট :  রূপালী পর্দায় নায়িকা হিসেবে মৌসুমীকে বাংলা সিনেমার দর্শক নব্বই দশকে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় প্রথম দেখতে পান। সালমান শাহর বিপরীতে অভিনয় করে ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় দর্শকের মন জয় করেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই মুখ। এ ছবির পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি সফলভাবে বিভিন্ন সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে শেষ হলো ২০১৭ সাল। গত বছর মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবিতে খলনায়ক ডিপজলের বিপরীতে তিনি অভিনয় করেন। এছাড়া উত্তম আকাশের ‘আমি নেতা হব’, একে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ও রাশেদ রাহার ‘নোলক’ নামে নতুন ছবিতে কাজ করেন।
নতুন বছরে এসে কাজের ব্যস্ততা নিয়ে মৌসুমী মানবজমিনকে বলেন, কয়েকদিন আগে ভারতের হায়দরাবাদে ‘নোলক’ ছবির কাজ করে এলাম। শহীদুল আলম সাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে বেশিরভাগ কাজ ছিল ওমর সানী এবং আমার। সাচ্চু ভাই না থাকাতে অল্প কিছু কাজ হয়েছে। কয়েকদিন পর হয়তো বাকি কাজ হবে। নতুন বছরে কাজের জন্য এখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়নি। তবে ১০ই জানুয়ারি ইস্পাহানী আরিফ জাহানের ‘নায়ক’ ছবির মহরতের মাধ্যমে আমার নতুন ছবির কাজ শুরু হবে। একটানা শুটিং করার কথা রয়েছে। এ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন? মৌসুমী বলেন, ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় এর আগেও কাজ করা হয়েছে। এ ছবির হিরো থাকছে বাপ্পি। ছবির কাহিনীতে মূলত আমার ছোট বোনের সঙ্গে বাপ্পির সম্পর্ক দেখা যাবে। পাশাপাশি তার কিছু সমস্যা আমার চোখে ধরা পড়ে। এ কারণে আমি চেষ্টা করি এই সম্পর্কটা না হোক। কিন্তু আমার বোন সেটা বুঝতে চায় না। এরপর ঘটতে থাকে নানান ঘটনা। এ ছবির বাইরে ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবির সব কাজ শেষ হয়েছে। এ ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। এদিকে সামনে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ‘রাত্রীর যাত্রী’ ছবিটি মুক্তি পাবে। এতে মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। গত বছরটা কেমন কেটেছে জানতে চাইলে মৌসুমী বলেন, ভালো কেটেছে। গত বছর অনেক কিছু নিয়ে টেনশনও ছিল। তবে টেনশন থাকলেও ভালো কেটেছে বছরটা। তেমন খারাপ কিছু ঘটেনি আমার জীবনে। তবে ইন্ডাস্ট্রির কিছু আপন মানুষজনকে গত বছর হারিয়েছি। এটা খুব কষ্টদায়ক ছিল। নতুন বছরে মৌসুমী তার অভিনয়, কাজের পরিকল্পনা নিয়ে কি ভাবছেন জানতে চাইলে বলেন, বিগত বছরের মতো কারো কোনো সমস্যা না করে বছরটি ভালোভাবে কাটাতে চাই। আর বাকিরাও যেন ভালো থাকে সেটাও চাই। সিনেমার বাজার দিন দিন খারাপ হচ্ছে, এটা নিয়ে কিছু বলুন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ভালো প্রোডাকশন হচ্ছে না, তা বলবো না। তবে দর্শকের মনে দাগ কাটার মতো কাজ হয়তো কম হচ্ছে। এখন জীবনযাপন বদলে গেছে। কোনো কারণ ছাড়া সিনেমা হলে গিয়ে কেউই বসে থাকতে চায় না। বিনোদন এখন মুঠোফোনে চলে গেছে। তাই সিনেমা হলে বিনোদন খোঁজার দর্শক কমে গেছে। তাহলে এটা সিনেমা বাজারের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমীর ভাষ্য, গল্প সাজানো বা মেকিং ভালো না হলে দর্শক সে সিনেমা গ্রহণ করবে না। এটাই তো স্বাভাবিক। তবে উপযুক্ত এবং সময় উপযোগী গল্প বাছাই করে ভালোভাবে সিনেমা বানালে অবশ্যই দর্শক সিনেমা দেখবেন। অভিজ্ঞ পরিচালকের পাশাপাশি নতুন পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করছেন মৌসুমী। কেমন করছেন নতুনরা ? জবাবে হাসি দিয়ে মৌসুমী বলেন, নতুনরা নতুনদের মতোই কাজ করছে, আর পুরানোরা পুরানোদের স্টাইলে কাজ করছেন। এর পার্থক্য করা যায় না। প্রবীণদের কাজের ধরণ ছিল আলাদা। নতুনরা আবার ভিন্ন ধারায় কাজ করছেন। কারণ ফিল্মটা বোঝার পাশাপাশি তাদেরও চেষ্টা থাকছে এই সময়ের দর্শকের মন জয় করার। তাদের চেষ্টাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানালেন মৌসুমী। তবে ছবির কাহিনীতে আরও বেশি জোর দেয়ার কথা বললেন তিনি।  সুত্র মানবজমিন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.