189498

শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে ২০ গ্রাম বিলীন

ডেস্ক রিপোর্ট :  শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : গত ৭ দিনে পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডের চরের ৯ গ্রাম, নড়িয়া উপজেলার মোকতারের চর, ঘড়িষার ও নওপাড়া ইউনিয়নের ৮ গ্রাম ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৭ গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের আরো সহস্রাধিক পরিবার। ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রচ- স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় রবিবার থেকে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এতে কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর বাজার, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মসজিদসহ ৮ শতাধিক কাঁচা-পাকা স্থাপনা ও তিন হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে শনিবার ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমে আসলেও ভাঙন কবলিতদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সরজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাঙন কবলিত এলাকায় বাড়ি-ঘর সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পাওয়ায় শেষ সম্বলটুকুও রক্ষা করতে পারছে না ভাঙন কবলিতরা। ভাঙন কবলিত দুর্গতরা এই মুহূর্তে তাদের বাড়ি-ঘর সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসনের দাবি জানান।
এ পর্যন্ত কুন্ডেরচর ইউনিয়নের খাজুর তলা লঞ্চঘাট, কলমিরচর ওহার বেপারীর কান্দি, এয়াকুব বেপারীর কান্দি, দেওয়ান কান্দি ও মিয়া কান্দিসহ ৯ গ্রামের ১৫শ’ পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ৫ শতাধিক পাকা স্থাপনা গত ৭ দিনে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এয়াকুব কান্দি মসজিদের ইমাম হাফেজ আঃ জব্বার নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে তার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখছিলেন। সাংবাদিক দেখেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। বুকফাটা আর্তনাদ করে বলেন, সকাল বেলাও ফজর নামাজ পড়ে মুসল্লিদের নিয়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে বলেছি আমাদের রক্ষা কর। কিন্তু আমাদের দোয়া তিনি মঞ্জুর না করে পদ্মার বুকে ডুবিয়ে দিলেন তারই ঘরটিকে। এটা তারই ইচ্ছা। আমাদের করার কিছু নেই। সূত্র দৈনিক ইনকিলাব

পাঠকের মতামত

Comments are closed.