IFFI-র মঞ্চে রাজকুমারের রসিকতা, অভিনেতাকে ‘সহিষ্ণুতা’র পাঠ স্মৃতির
মঞ্চে রসিকতার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পেলেন রাজকুমার রাও। পালটা উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেতাকে ‘সহিষ্ণুতা’র পাঠ দিয়েই ছাড়লেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি গোয়ায় আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে (IFFI) ঘটে গেল এই ঘটনা।
চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। প্রাক্তন অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে গ্ল্যামার দুনিয়ায় ভালই পরিচিতি রয়েছে তাঁর। সেই সুবাদেই তাঁকে নিয়ে হালকা রসিকতা করে বসেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। মঞ্চে চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ছবির নাম ঘোষণার সময় রাজকুমার বলেন, প্রথম ছবিটিই ইরানি পরিচালক মজিদ মাজিদির। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি ইরানির যোগসূত্র রয়েছে মনে হয়।
রাজকুমারের এ কথায় হাসির রোল ওঠে উৎসব প্রাঙ্গনে। হাসি দেখা যায় স্মৃতির মুখেও। তবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী যখন নিজের বক্তব্য পেশ করতে ওঠেন তখনই বোঝা যায়, এ রসিকতা মোটেও হালকা চালে নেননি তিনি। নিজের কথার মাঝে স্মৃতি জানান, একজন মন্ত্রীর সামনেই তাঁকে নিয়ে রসিকতা করছেন রাজকুমার। এতেই বোঝা যায় শাসক দল কতটা সহিষ্ণু। আশা করা হচ্ছে, এরপর আর কেউ বলবেন না বিজেপির লোকেরা অভিনেতার পা ভেঙে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফারহা খানের টেলিভিশন শোয়ে অংশ নিতে গিয়ে পা ভেঙে বসেন রাজকুমার। সে খোঁড়া পা নিয়েই IFFI-র মঞ্চে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর অনেকের মতে, নিজের এই মন্তব্যে শুধু রাজকুমার নয় জাভেদ আখতার, একতা কাপুর, শাবানা আজমিদের মতো সমালোচকদেরও পরোক্ষে জবাব দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। সাম্প্রতিক ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে যাঁরা সরকারের সহিষ্ণুতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। অবশ্য এরপর রাজকুমার এবং শোয়ের অন্য সঞ্চালক রাধিকা আপ্তের প্রশংসাও করতেও কার্পণ্য করেননি স্মৃতি। দু’জনের ছবি নিজের প্রোফাইলে টুইটও করেছেন তিনি।