189330

এই বছর হয়তো মুক্তি পাবে না পদ্মাবতি

সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবতীকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছেই। ছবিকে কেন্দ্র করে কখনও বিক্ষোভ-আন্দোলন, কখনও ভাঙচুর বা পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। এরমধ্যেই ছবি মুক্তির তারিখ, যেটা ১ ডিসেম্বর ছিল, সেটা বাতিল হয়েছে। অপর এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, খুব সম্ভবত বনশালির এই ছবি এবছর পর্দায় মুক্তিই পাবে না। ছবি মুক্তি পেতে পারে ২০১৮ সালে। বিতর্কিত এই ছবি সেন্সর বোর্ড থেকেও ছাড়পত্র পায়নি।

যেহেতু এখনও ছবিটি সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে উঠতে পারেননি, তাই মনে করা হচ্ছে, তাঁরা ছবিটি দেখার পর পর্দায় মুক্তি পেতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে। সেই জন্যে ছবির প্রচারও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এক সূত্রের দাবি, সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেলেই মুক্তির দিন ঘোষণা করবেন ছবির প্রযোজকরা।

মূলত ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে বিভিন্ন কট্টরপন্থী রাজপুত সংগঠন সরব। তাঁদের দাবি ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করে দেখানো হয়েছে। গত বছর ছবির শ্যুটিং শুরু হতেই সেটে ভাঙচুর চালায় কার্ণি সেনার সদস্যরা। সেসময় জখম হন পরিচালকও। তারপর ফের একবার শ্যুটিং সেটে ভাঙচুর করা হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় পদ্মাবতীর রঙ্গোলি। প্রসঙ্গত, ছবিতে রানি পদ্মাবতীর সঙ্গে আলাউদ্দিন খিলজির স্বপ্নে প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সেখানেই আপত্তি কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির। যদিও এরপর ভিডিও-বার্তা মারফত ছবির পরিচালক-প্রযোজকরা জানান, কোনও বিতর্কিত বিষয়ই দেখানো হয়নি ছবিতে। তবে তাতে তেমন কোনও লাভ হয়নি। প্রতিবাদ-আন্দোলন যেমন চলার তেমনই চলছে।

এদিকে সোমবারই সিবিএফসি প্রধান প্রসূন জোশী এক বিবৃতি দিয়ে জানান, তর্ক-বিতর্ক নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্রে পৌঁছতে হবে। মঙ্গলবার, সেই একই সুর শোনা গেল সিবিএফসি-র আর এক সদস্যের গলাতেও। সেই সদস্যই জানিয়েছেন, যেকোনও ছবিকে সার্টিফাই করতে সর্বাধিক ৬৮ দিন লাগে। তার চেয়ে কম সময়ও অনেক ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু এধরনের বিতর্কিত ছবির ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতার সঙ্গে, বিভিন্ন লোকের মতামত নিয়ে তবেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতেই পারে। তবে ৬৮ দিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার ভাবনা রয়েছে।

সিবিএফসি সম্প্রতি পদ্মাবতীর নির্মাতাদের অ্যাপলিকেশন অসম্পূর্ণ, সেই মর্মে সেটি ফেরত পাঠায়। আপাতত ছবির নির্মাতারা ফের রি-অ্যাপ্লাই করেছেন। অ্যাপলিকেশন এবার সঠিক হলে, ছবি স্ক্রিনিংয়ের একটি তারিখ দেওয়া হবে। সেখানে ইতিহাস বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। সবদিক খতিয়ে তারপরই ছাড়পত্র দেওয়া হবে ছবিকে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.