189261

‘পদ্মাবতী’ জট কাটাতে বনশালিকে আজব পরামর্শ এই শোভা দত্তর

যত দিন যাচ্ছে, ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে বিতর্ক যেন ততই বাড়ছে। ছবি মুক্তির আগেই একের পর এক আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে ‘পদ্মাবতী’কে। মঙ্গলবারই ছবি মুক্তির প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে কোটার এক প্রেক্ষাগৃহে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় কর্ণি সেনা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পোস্টার, ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি। তা সত্ত্বেও থামেনি প্রতিবাদ। রাজ পরিবার থেকে হরিয়ানার মন্ত্রী, সকলেই ছবিটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে সরব হয়েছেন। আর এসবের মধ্যেই একটু অন্যভাবে বনশালির পাশে দাঁড়িয়েছেন শোভা দে। এই সমস্যা মেটানোর ওষুধ দিলেন লেখিকা। তাঁর মতে, ছবির নাম পালটে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে।

বনশালিকে শোভা দের পরামর্শ, “রাম-লীলা ছবিতেও তো আপনি এমনটা করেছিলেন। এবারও করুন। এক কাজ করতে পারেন। ছবির নাম রাখুন লীলাবতী, অমরাবতী কিংবা পুষ্পবতী। আরও একটা কাজ করতে পারেন। জায়গার নাম চিতোর না রেখে কিতোর বা বিতোর করে দিন। তাহলেই আর বিক্ষোভকারীদের অসুবিধা হবে না আশা করি।”

না, গম্ভীরভাবে নয়। মজা করেই এমন পরামর্শ দিয়েছেন লেখিকা। এভাবেই যেন হিন্দু সংগঠন ও রাজ পরিবারকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ইচ্ছা করলে পরিচালক অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু তাঁর যা সঠিক মনে হয়েছে, তিনি সেটাই করেছেন। আর তাই কাউকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। শোভা দে অবশ্য নিজের মন্তব্য পরিষ্কারও করে দেন পরে। বলেন, “অন্যের কথা ভেবে কেন ছবির নাম পালটাবেন পরিচালক? যাঁরা সংস্কৃতি নষ্টের কথা বলছেন, ইতিহাস বিকৃতির কথা বলছেন, তাঁরা আদৌ ছবিটা দেখবেন তো? তাঁরা কী অনুমান করেছেন, তার জন্য কেন বনশালীকে কৈফিয়ত দিতে হবে? পদ্মাবতীর আমাদের প্রত্যেকের মননের একজন কাল্পনিক নারী। ছবি দেখার পরই তার বিচার করা উচিত।”

অন্যদিকে অভিনেতা ফারহান আখতার মনে করছেন, বলিউড ছবির জগতে ঐক্যের অভাব রয়েছে। আর সেই কারণেই অন্যরা এতে মথা গলানোর সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। তবে কোনও ছবি, ব্যক্তি বা সিনেমা হল আক্রমণের নিন্দা করেছেন তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.