189251

‘পদ্মাবতী’ ইস্যুতে প্রেক্ষাগৃহ ভাঙচুর কর্ণি সেনার, প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন

এবার হিংসাত্মক চেহারা নিল ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে বিক্ষোভ। ছবির মুক্তির প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে কোটার এক প্রেক্ষাগৃহে রীতিমতো তাণ্ডব চালাল কর্ণি সেনা। ছিঁড়ে দেওয়া হল পোস্টার, ভাঙচুর করা হল প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে। অভিযোগ, এতকিছু হওয়ার পরও তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি রাজস্থান সরকার। বরং পরোক্ষে বিক্ষোভকারীদের পক্ষেই রয়েছে রাজ্য।

বিক্ষোভ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মঙ্গলবার রাজস্থান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, গণতন্ত্রে প্রত্যেকের বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে। যদি কেউ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেন তাহলে কারও কিছু বলার নেই। আইন হাতে নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোটার ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে কর্ণি সেনার নেতা মহীপাল সিংয়ের কথায়, এক বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার যদি কোথাও কেউ আইন হাতে তুলে নেয় তাহলে তাঁদের কিছু বলার বা করার নেই। এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেবল হিংসার রাস্তায় বিরোধীদের না যাওয়ার অনুরোধ করেই কাজ সেরেছেন। এতেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

‘পদ্মাবতী’র শুটিংয়ের সময় থেকেই বিরোধ জানিয়ে আসছে কর্ণি সেনা। সেনার ভাঙচুর, তাণ্ডবের জেরেই মরুশহর থেকে শুটিং বাতিল করে ফিরে আসতে হয়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির টিমকে। পরে আলাদা সেট তৈরি করে সেই অংশটি শুট করতে হয়েছে। তখনই পরিচালক জানিয়েছিলেন তাঁর ছবিতে আপত্তিজনক কিছু নেই। ‘পদ্মাবতী’-তে কোনওভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি। রানি পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে কোনও প্রেমের দৃশ্য নেই। বরং রাজপুত রানির শৌর্যের গাথাই তুলে ধরা হয়েছে। এতে মন গলেনি সেনার। ছবির পোস্টার বের হতেই তা পোড়ানো হয়েছে। বিক্ষোভে শামিল হয়েছে রাজপুতানা সংগঠন, ব্রাহ্মণ মহাসভাও। একের পর এক বিজেপি বিধায়ক, সাংসদের হুমকির পালাও অব্যাহত। বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে আবার একটি ভিডিওর মাধ্যমে পরিচালক জানান এ ছবিতে আপত্তিকর কিছু নেই। কিন্তু এরপরও বিক্ষোভ অব্যাহত।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.