189185

সিনেমাকে বিনোদন হিসেবেই দেখি, ‘পদ্মাবতী’ বিতর্ক ওড়ালেন নকভি

সিনেমাকে সিনেমার মতো করেই দেখি। তার ভিতরের ইতিহাস, বা ভূগোল নিয়ে বিশেষ ভাবিত নই। ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে যাবতীয় বিতর্কে এভাবেই জল ঢাললেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।

পদ্মাবতী নিয়ে বিক্ষোভ আজও অব্যাহত। গান্ধীনগর, সুরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখায় রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষরা। ছবিমুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দাবি করে আন্দোলন জোরদার করেছে বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ, ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে এ ছবিতে। অর্থাৎ আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে রানি পদ্মাবতীর প্রেমের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। যা আদতে অবাস্তব। সম্ভবত কোনও ড্রিম সিকোয়েন্সের মাধ্যে পরিচালক তা সিনেমায় ঢুকিয়েছেন বলেই দাবি তাঁদের। যদিও পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি সমালোচকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, একম কোনও সম্পর্কের কথাই ছবিতে বলা হয়নি। তাতেও অবশ্য চিড়ে ভেজেনি।

এদিকে আজ বারাণসীতে রাজপুত সম্প্রদায়ের মহিলারা বনশালির কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানান। নিষেধাজ্ঞার আরজি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছিল। যদিও তা নাকচ করে দেওয়া হয়। সেন্সর বোর্ডেরও সেরকম কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির প্রতিবাদের বিরাম নেই। সেই সুরেই সুর মিলিয়েছিলেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। এর আগে বিজেপি বিধায়ক থেকে সাংসদ, এমনকী গিরিরাজ সিংয়ের মতো নেতাও বনশালির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, হিন্দুদের ইতিহাস নিয়েই টানটানি হচ্ছে। মুসলমানদের আরাধ্য বা তাদের ইতিহাস টেনে ছবি করতে পরিচালককে চ্যালেঞ্জ জানান তাঁরা। এই প্রসঙ্গেই নকভির এ মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর কুর্সিতে বসেও তিনি ইতিহাস-ভূগোল নিয়ে এতটা ভাবিত নন, যতটা তাঁর দলের নেতা-বিধায়করা। তাঁর তাই সাফ কথা, সিনেমাকে সিনেমার মতোই দেখা উচিত। নিজের উদাহরণ টেনে তবে কি দলের ভিতরেই বার্তা দিলেন মন্ত্রী? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।এদিকে হরিয়ানার মন্ত্রী বিপুল গোয়েল জানিয়েছেন, পদ্মাবতী ছবিতে পরিবর্তন আবশ্যক। কেননা আলাউদ্দিন খিলজিকে গ্লোরিফাই করা আর মেয়েদর উপর অ্যাসিড হামলা যারা করে, তাদের গ্লোরিফাই করা সমার্থক। এই এতকিছুর মধ্যে ১ ডিসেম্বর পদ্মাবতী আদৌ মুক্তি পায় কিনা, সেটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.