188935

‘পদ্মাবতী’র মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চাইল বিজেপি, সায় নেই কংগ্রেসেরও

কর্ণি সেনার তাণ্ডব, সেটে আগুন, রঙ্গোলি নষ্ট-পদ্মাবতীর ভাগ্যে জোটেনি হেন লাঞ্ছনা নেই। এসব নিয়েও ছবি মুক্তি পেতে চলেছিল। কিন্তু এবার বোধহয় ষোলকলা পূর্ণ হতে চলেছে। পদ্মাবতীর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দাবি করতে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে যদি ইতিহাস বিকৃত হয়, তবে ছবিমুক্তিতে সায় নেই কংগ্রেসেরও।

গোড়া থেকেই সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি ছিল সমালোচনার তুঙ্গে। পদ্মাবতীর সঙ্গে আলাউদ্দিনের প্রেম ছবির সিংহভাগ দখল করে আছে অভিযোগে সেট ভাঙচুর করেছিল কর্ণি সেনা। কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর দাবি ছিল, রানি পদ্মাবতীকে এখানে অবমাননা করা হয়েছে। পরিচালক পরে করজোরে জানান, যা ভাবা হচ্ছে তা নয়। বাজেটে, মাত্রায়, জাঁকজমকে এ ছবি শুধু সঞ্চয়ের নয়, বলিউডেরও অন্যতম ড্রিম প্রজেক্ট বটে। কিন্তু শুরু থেকেই তা ঠোক্কর খেতে খেতে চলছে। এমনকী পদ্মাবতীর অনুকরণে রঙ্গোলি তৈরি হতেও তা নষ্ট করে দেওযা হয়েছিল। খেপে গিয়ে সোজা স্মৃতি ইরানির দ্বারস্থ হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তবে তাতে যে আদতে কিছু হবে না, তা যেন এখন ভালই বোঝা যাচ্ছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর মোতাবেক, বিজেপি মুখপাত্র আই কে জাদেজা জানিয়েছেন, আপাতত ছবিমুক্তিতে স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। যতদিন না পুরো ঝামেলা মেটে ততদিন ছবি মুক্তি না হওয়াই ভাল। নির্বাচন কমিশন ও সেন্সর বোর্ডের কাছে তাঁরা লিখিত আবেদন জানাবেন। তাঁর দাবি গুজরাট নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত এরকম বিতর্কিত ছবি মুক্তি না পাওয়াই শ্রেয়। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শক্তিসিং গোহলি জানাচ্ছেন, যদি মনে হয় এ ছবি বিশেষ একটা শ্রেণির মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করবে, তবে সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হোক। তাহলেই মতামত জানা যাবে। সত্যই যদি ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে তবে ছবি মুক্তি না পাওয়াই ভাল।

সামনেই নির্বাচন। যেহেতু আলাউদ্দিন ও পদ্মাবতীর কাহিনি জড়িয়ে আছে, তাই ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। একই ভাবনা কংগ্রেসেরও। তাই বিতর্কিত ছবি নিয়ে কেউই ক্ষত্রিয়দের চটাতে নারাজ। অতএব কোপ পড়তে চলেছে ছবির উপরেই। শাসক-বিরোধী একযোগেই চাইছে নির্বাচন পর্যন্ত ছবি মুক্তি না পাওয়াই ভাল। যদিও তাঁরা মুখে বলেছেন, এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু নির্বাচন পরিস্থিতি কোনও সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধুক, তা কাম্য নয়। সে কারণেই এই আগাম পদক্ষেপ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.