188839

পাথর নিক্ষেপকারীদের শায়েস্তা করতে আইন সংশোধন কাশ্মীরে

হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত জ্বলছে জম্মু ও কাশ্মীর। বিক্ষোভকারীদের রোষে পড়ে বন্ধ বহু স্কুল ও কলেজ। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বহু সরকারি কার্যালয়। পাথর নিক্ষেপকারীদের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে কোটি-কোটি রুপির সরকারি সম্পত্তি। ফলে প্রবল চাপে রাজ্যের অর্থব্যবস্থা। তাই এবার বিক্ষোভকারীদের উপর রাশ টানতে বর্তমান আইনে সংশোধন আনা হল কাশ্মীরে। এবার থেকে বিক্ষোভের নামে ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে পেতে হবে কড়া সাজা।

বৃহস্পতিবার ‘দ্য জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পাবলিক প্রপার্টি অর্ডিন্যান্স, ২০১৭’ নামের সংশোধনী প্রস্তাবে সিলমোহর দেন রাজ্যপাল এনএন ভোরা। এর মাধ্যমে বর্তমান আইনে কয়েকটি সংশোধন এনে বনধ সমর্থক ও পাথর নিক্ষেপকারীদের সাজার মাত্র বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এবার থেকে প্রতিবাদের ছুতোয় ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করলে সম পরিমাণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দোষী সাব্যস্তদের। এছাড়াও দুই থেকে পাঁচ বছরের জেলের সাজাও হতে পারে দোষীদের। এবার থেকে পাথর ছুড়লে তা ফৌজদারি মামলা হিসেবেই গণ্য করা হবে। এই নয়া আইনের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দোষীদের থেকেই ফেরত নিতে পারবে সরকার। ফলে চাপ কমবে কোষাগারের। এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল এমআই কাদরি জানান, এই নয়া সংশোধনের মাধ্যমে আইনের আওতা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির জন্য রাজকোষ পড়া চাপ কিছুটা কমবে। কারণ দোষীদের থেকে সম পরিমাণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে রাজ্য। তিনি আরও জানান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিক্ষোভের উপর লাগাম টানছে না সরকার। এছাড়াও অভিযুক্তদের বিচার করবে আদালত। তাই আদালতে নিজেদের পক্ষে লড়াই করার সুযোগ পাবেন অভিযুক্তরা।

উল্লেখ্য, উপত্যকায় জোরকদমে চলছে সন্ত্রাসদমন অভিযান। হুরিয়ত নেতাদের জঙ্গিযোগ নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাঁড়াশি চাপ দিচ্ছে এনআইএ। আবার একই সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিশেষ প্রতিনিধিও নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। মোটের উপর নরমে-গরমে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছে দিল্লি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সংশোধনে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.