188102

পেটে কৃমি হয়েছে বুঝবেন কী করে ? এর থেকে বাঁচার উপায় কী ?

পেটে ব্যথা বা যন্ত্রণা তো লেগেই থাকে ৷ মাঝেমধ্যেই পেটে ব্যথার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই ৷ কিন্তু এর কারণ হরেকরকম হতে পারে ৷ যার মধ্যে একটা অবশ্যই কৃমি ৷ আপনার শরীরে কৃমি যে বাসা বেঁধেছে, সেটা বুঝবেন কী করে ? বোঝার উপায় অবশ্যই রয়েছে ৷ অবসাদে ভোগা, অস্থিরতা, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে, রক্তাল্পতা এবং আয়রন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া, অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া, খাবারে অ্যালার্জি, মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া, এমনকী আত্মহত্যার প্রবণতাও কৃমির উপসর্গ ৷

এই সমস্ত উপসর্গগুলি মোটেই খুব ভাল লক্ষ্মণ নয় ৷ কৃমির জন্য সারাদিন ধরে অস্বস্তি লেগেই থাকে ৷ এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই পেটে কৃমি থাকার সম্ভাবনা বেশি ৷ ওষুধ থাকলেও কৃমির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করাই সবচেয়ে ভাল ৷

কাঁচা রসুন— কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। রসুন প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খান অথবা রসুনের জুস করে খান।

লবঙ্গ— রোজ লবঙ্গ খেলে ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস, ফাংগাস ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা হলুদও খুব উপকারি ৷ এটি অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে ৷ ফিতাকৃমি নির্মুল করার জন্য শশার বীজও দারুণ উপকারি ৷ খান মধুও ৷

আদা— হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন, ইত্যাদি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। এই সমস্যাগুলিও কৃমি থেকে তৈরি হয়। তাই আদার রস খালি পেটে খেলে কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ৷

পেঁপে— পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপে খুবই উপকারি। যে কোনও ধরনের কৃমি তাড়াতে পেঁপের বীজ শ্রেষ্ঠ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.