188114

গাঁজা সেবনে নাকি সারতে পারে ‍’ক্যান্সার‍’, বলছেন গবেষকরা!

গাঁজার নেশা বাড়াবাড়ি জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে এটা কি জানেন? পরিমান মত গাঁজা নাকি অপকার নয়, বরং উপকারই করে। গবেষকরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। সম্প্রতি একটি জার্নালে গাঁজা খাওয়ার ৯টি উপকারের কথা তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা।

ক্যান্সারের আনসার
মারিজুয়ানা‍ অর্থাৎ গাঁজা সেবন করলে নাকি ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে ‌যায়। এটি টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে ক্যান্সারের প্রতিরোধকের ভূমিকা পালন করে। এবিষয়টি বহু আগেই ‌যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ভাবেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে ক্যান্সার বিষায়ক ওয়েবসাইট ক্যান্সার অর্গ-এ কথা জানানো হয়।

কেমোথেরাপির ক্ষতি কম
এইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে, মারিজুয়ানা অর্থাৎ গাঁজা ক্যান্সার রোগীর রোগযন্ত্রণা অন্যভাবেও কমায়৷ ক্যানসার রোগীকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে কেমোথেরাপি নিতে হয়৷ কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে৷ মারিজুয়ানা কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ক্ষতি লাঘব করে বলে জানানো হয়েছে৷

স্ট্রোক কম হয়
এটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকদের উদ্ভাবন ৷ তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, গাঁজা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে৷ ফলে স্ট্রোক-এর ঝুঁকি কমে৷
হেপাটাইটিস ‘সি’-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়

গাঁজা হেপাটাইটিস সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমায়৷ নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধের মতো গাঁজা সেবন করিয়ে দেখা গিয়েছে এই রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮৬ ভাগেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কমেছে।

মৃগীরোগ কমায়
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, মারিজুয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এই ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়৷ বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িক জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্সে ছাপাও হয়েছে তাদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব ৷

গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে
এই বিষয়টি তো প্রায় দশ বছর আগে জানা গিয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছিল মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমাতেও সক্ষম এই গাঁজা৷ গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে৷ এই ভয়াবহ ব্যাধি গাঁজার মাধ্যমে আটকে রাখা সম্ভব।

আলৎসহাইমার রোগের শত্রু
দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাঁজা মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে৷ আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমতে পারে ৷ তবে গাঁজা ‘ওষুধ’ হিসাবে খেলে তবেই রোগ সারাবে, নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির পণ্য হলে নয়৷

মাল্টিপল স্কলেরোসিস বিরোধী
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে ‘মাল্টিপল স্কলেরোসিস’ বা এমএস বলে। এটি এক ধরণের স্নায়ুরোগ ৷ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গাঁজা সেবন করলে এই রোগের ঝুঁকিও কমে৷

ব্যথা নিরোধ
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলছেন, গাঁজা সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম৷
তবে এই সবকটি তথ্যই বিভিন্ন গবেষকরা বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন, এর সত্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে

পাঠকের মতামত

Comments are closed.