187647

এক ইঞ্জেকশনেই গর্ভধারণের আশঙ্কা ছাড়াই নিশ্চিন্ত মিলন

ইঞ্জেকশন নিন একদিন। নিশ্চিন্তে থাকুন নব্বই দিন। মহিলাদের জন্য নতুন গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন ‘অন্তরা’ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল থেকে। পোষাকি নাম ডেপো মেডরক্সি প্রোজেস্টেরন অ্যাসিটেট বা ডিএমপিএ। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক অন্তরা ব্যবহারের ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করলেও তেমন সাড়া নেই মহিলাদের মধ্যে। চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে এই বিষয়টি-ই।

এখন গর্ভনিরোধক হিসেবে মহিলারা ব্যবহার করেন ট্যাবলেট। পুরুষরা ব্যবহার করেন কন্ডোম। কপার-টি-সহ আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তরা ইঞ্জেকশনের সবচেয়ে সুবিধা হল , একবার নিলে তিনমাস নিশ্চিন্ত। পার্শ্বপ্রক্রিয়াও সামান্য। প্রথমবার একটু পেটের সমস্যা হতে পারে। দ্বিতীয়বার থেকে তাও হয় না।

অন্তরার খুঁটিনাটি

—ইঞ্জেকশনের মেয়াদ ৩ মাস
—টানা ২ বছর নেওয়া যায়
—তারপর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে
—হাতে বা নিতম্বের পেশিতে নিতে হয় ইঞ্জেকশন
— সন্তান প্রসবে পর প্রসূতিদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে

এর ফলে একদিকে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার কমবে। অন্যদিকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কৃত্তিমভাবে প্রোজেস্টেরন হরমোন থেকে ডিএমপিএ গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন তৈরি হয়। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু উৎপাদনে বাধা দেয় এই হরমোন।
কিছু সাবধানতা

—ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গা ম্যাসাজ করা যাবে না
—গরম শেক দেওয়া যাবে না
—না হলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে
–কন্ডোমের মত এইডস বা সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিস আটকানোর ক্ষমতা নেই অন্তরার

অন্তরা নিয়ে হইচই-ও হচ্ছে। অনেকের দাবি, এই ইঞ্জেকশন ঋতুচক্রে প্রভাব ফেলে। হাড়ে ক্ষয় ধরায়। এমনকি বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের সম্ভাবনাও। যদিও, ডিএমপিএ নিয়ে এমন সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই পথচলা শুরু করেছে অন্তরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও আরজিকরে বেশ কয়েকজন এই ইঞ্জেকশন নিয়েছেন। স্বাস্থ্যভবনে মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলছে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম। নিশ্চিন্তে সম্পর্ক গড়ার নব্বই দিনেরর গ্যারান্টি শীঘ্রই জনপ্রিয় হবে অন্তরা। অন্তরার পথে অন্তরায় এভাবেই দূর হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.